ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোট পদের প্রায় ২৬ শতাংশ ফাঁকা

সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫ লাখ পদ ফাঁকা

কোভিড মহামারির মধ্যে দীর্ঘ সময় নিয়োগ বন্ধ থাকায় সরকারি চাকরিতে রেকর্ড সংখ্যক পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এর আগে ফাঁকা পদের সংখ্যা ৪ লাখের কম থাকলেও এখন তা ৫ লাখ ছুঁই ছুঁই।

অর্থাৎ সরকারি চাকরিতে মোট পদের ২৫ দশমিক ৭৮৬ শতাংশ পদ ফাঁকা রয়েছে। সংখ্যা ও শতাংশের হিসাবে এত সংখ্যক পদ এর আগে কখনই ফাঁকা ছিল না।

কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারির মধ্যে লকডাউন চলাকালে অন্য সবকিছুর সঙ্গে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়াও থমকে যায়। বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি চাকরির প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ দফায় দফায় স্থগিত করা হয়।

মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিসিএস বাদে অন্যান্য সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে সর্বোচ্চ ৩৯ মাসের ছাড় দেয় সরকার। ফাঁকা পদগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণ করতে সাম্প্রতিক সময়ে দপ্তরগুলোকে কয়েক দফা তাগাদাও দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরও নিয়োগ প্রক্রিয়া তেমন গতি পায়নি।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৮২১টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৬টি পদ ফাঁকা রয়েছে।

আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৩ হাজার ৩৫৭টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮১৯টি পদ।

 

 

মোট পদের প্রায় ২৬ শতাংশ ফাঁকা

সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫ লাখ পদ ফাঁকা

আপডেট সময় ০৬:০৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

কোভিড মহামারির মধ্যে দীর্ঘ সময় নিয়োগ বন্ধ থাকায় সরকারি চাকরিতে রেকর্ড সংখ্যক পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এর আগে ফাঁকা পদের সংখ্যা ৪ লাখের কম থাকলেও এখন তা ৫ লাখ ছুঁই ছুঁই।

অর্থাৎ সরকারি চাকরিতে মোট পদের ২৫ দশমিক ৭৮৬ শতাংশ পদ ফাঁকা রয়েছে। সংখ্যা ও শতাংশের হিসাবে এত সংখ্যক পদ এর আগে কখনই ফাঁকা ছিল না।

কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারির মধ্যে লকডাউন চলাকালে অন্য সবকিছুর সঙ্গে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়াও থমকে যায়। বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি চাকরির প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ দফায় দফায় স্থগিত করা হয়।

মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিসিএস বাদে অন্যান্য সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে সর্বোচ্চ ৩৯ মাসের ছাড় দেয় সরকার। ফাঁকা পদগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণ করতে সাম্প্রতিক সময়ে দপ্তরগুলোকে কয়েক দফা তাগাদাও দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরও নিয়োগ প্রক্রিয়া তেমন গতি পায়নি।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৮২১টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৬টি পদ ফাঁকা রয়েছে।

আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৩ হাজার ৩৫৭টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮১৯টি পদ।