ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত সাড়ে ৫ হাজার, বহিস্কার ৪

আগামীতে এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে

  • ডেসটিনি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

দেশের ৮টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।

প্রথম দিন গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমদিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী। এদিন পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে তিন বোর্ডে চারজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষা শুরুর দিন গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে দেরিতে শুরু হলে সমস্যা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি অনেক বেশি ভিড় হয়, জ্যাম হয়। পরীক্ষার্থীদের অনেক আগে বাসা থেকে বের হতে হয়। দেরি হয়ে গেল কি না, তাদের মধ্যে অ্যাংজাইটি কাজ করে। সে জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট করলে ভালো হয়। কিন্তু দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে সেটা আর করা যায় না।
প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড় – মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
প্রশ্ন ফাঁস ও গুজব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। এ জন্য কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ  কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা নেবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থ রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন বোর্ডে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও ৬০ দিনের মধ্যে ১১ বোর্ডের ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশ করার চেষ্টা থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা  বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা ‘এইচএসসি পরীক্ষার দৈনিক প্রতিবেদনে’ গতকালের পরীক্ষায় সাড়ে ৫ হাজার, শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি ও ৪ শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের কথা জানানো হয়।
শিক্ষাবোর্ডের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী- বাংলা প্রথমপত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির হিসাবে ঢাকার পরই রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৩১ জন।
এছাড়া দিনাজপুর বোর্ডে ৭৩৩ জন, কুমিল্লায় ৬৫৫ জন, যশোরে ৬২৪ জন, সিলেটে ৪০৭ জন, বরিশালে ৩৮০ জন, ময়মনসিংহে ৩৫৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, দিনাজপুর বোর্ডে ২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর রাজশাহী ও বরিশাল বোর্ডে একজন করে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৮ বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৪১৩টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী- এসব কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৪ জন পরীক্ষার্থীর। এর মধ্যে অংশ নিয়েছেন ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩২২ জন। তাদের মধ্যে চারজনকে বহিষ্কার করা
আর অনুপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৫২২ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। অনুপস্থিতির  এ হারকে সন্তোষকজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮ বোর্ড থেকে অংশ নিচ্ছেন ১০ লাখ ৭ হাজার ২৪১ জন পরীক্ষার্থী। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া তিন বোর্ডের সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু হবে ১০ দিন পর ২৭ আগষ্ট। অর্থাৎ এবার এইচএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী হচ্ছে ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪১ জন। গতকাল প্রথম দিন দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবার একটি বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষা হবে। শুধুমাত্র আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

 

 

 

 

এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত সাড়ে ৫ হাজার, বহিস্কার ৪

আগামীতে এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে

আপডেট সময় ০৭:৩১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

দেশের ৮টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।

প্রথম দিন গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমদিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী। এদিন পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে তিন বোর্ডে চারজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষা শুরুর দিন গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে দেরিতে শুরু হলে সমস্যা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি অনেক বেশি ভিড় হয়, জ্যাম হয়। পরীক্ষার্থীদের অনেক আগে বাসা থেকে বের হতে হয়। দেরি হয়ে গেল কি না, তাদের মধ্যে অ্যাংজাইটি কাজ করে। সে জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট করলে ভালো হয়। কিন্তু দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে সেটা আর করা যায় না।
প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড় – মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
প্রশ্ন ফাঁস ও গুজব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। এ জন্য কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ  কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা নেবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থ রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন বোর্ডে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও ৬০ দিনের মধ্যে ১১ বোর্ডের ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশ করার চেষ্টা থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা  বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা ‘এইচএসসি পরীক্ষার দৈনিক প্রতিবেদনে’ গতকালের পরীক্ষায় সাড়ে ৫ হাজার, শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি ও ৪ শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের কথা জানানো হয়।
শিক্ষাবোর্ডের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী- বাংলা প্রথমপত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির হিসাবে ঢাকার পরই রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৩১ জন।
এছাড়া দিনাজপুর বোর্ডে ৭৩৩ জন, কুমিল্লায় ৬৫৫ জন, যশোরে ৬২৪ জন, সিলেটে ৪০৭ জন, বরিশালে ৩৮০ জন, ময়মনসিংহে ৩৫৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, দিনাজপুর বোর্ডে ২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর রাজশাহী ও বরিশাল বোর্ডে একজন করে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৮ বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৪১৩টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী- এসব কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৪ জন পরীক্ষার্থীর। এর মধ্যে অংশ নিয়েছেন ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩২২ জন। তাদের মধ্যে চারজনকে বহিষ্কার করা
আর অনুপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৫২২ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। অনুপস্থিতির  এ হারকে সন্তোষকজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮ বোর্ড থেকে অংশ নিচ্ছেন ১০ লাখ ৭ হাজার ২৪১ জন পরীক্ষার্থী। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া তিন বোর্ডের সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু হবে ১০ দিন পর ২৭ আগষ্ট। অর্থাৎ এবার এইচএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী হচ্ছে ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪১ জন। গতকাল প্রথম দিন দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবার একটি বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষা হবে। শুধুমাত্র আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।