সংস্থাগুলো বলেছে, সংবাদ প্রতিবেদন–সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আইনি পদক্ষেপ ভয় দেখানোর শামিল, যা একটি স্বাধীন গণমাধ্যমের কার্যক্রমকে রুদ্ধ করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ বা যাঁদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, তাঁদের কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের শিকার হওয়ার ভয় ছাড়াই গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনভাবে বাংলাদেশের সব জাতীয় ও স্থানীয় ঘটনার সংবাদ প্রকাশের ক্ষমতা থাকা উচিত। বিশেষত, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমের এই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনগুলো। তবে এই আইনের বদলে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি দমনমূলক ধারা থাকছে, যেগুলো আগে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, নাগরিক স্বাধীনতাসহ স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারকর্মীদের কণ্ঠরোধে ব্যবহার করা হয়েছিল।
সংস্থাগুলো হলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল; আর্টিকেল নাইনটিন (দক্ষিণ এশিয়া); এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন; বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া; ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট; সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন; কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম (সিএফডব্লিউআইজে); কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস; ফোরাম ফর ফ্রিডম এক্সপ্রেশন, বাংলাদেশ; ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড; আইএফইএক্স; ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ); ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে); ইন্টারন্যাশনাল ওমেন’স মিডিয়া ফাউন্ডেশন; পেন আমেরিকা; পেন বাংলাদেশ; পেন ইন্টারন্যাশনাল; রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ও রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ই–মেইলে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমদকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।