ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলার পরবর্তী শুনানী ১৮ সেপ্টেম্বর

একাউন্ট রিলেটেড ট্রানজেকশন এর উত্তর দিতে পারে নাই দুদকঃ কোম্পানি আইনজীবী

  • মোঃ আবুল হাছান ।
  • আপডেট সময় ০৮:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানী আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। আদালত মামলার শুনানী শেষে পরবর্তী শুনানীর দিন ১৮ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।   

শুনানীতে কোম্পানি পক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন,আজকে সাউথইষ্ট ব্যাংক থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট আসছিল । সেই গুলো ট্রানজেকশন রিলেটেড ও একাউন্ট ফর্ম রিলেটেড । সেই কাগজ গুলো আদালতে জমা হওয়ার পর সেই গুলো বৈধ কি অবৈধ এই প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে,জিম্মাদার যারা ছিলেন তাদের কাছে। তারা কোন উত্তর দিতে পারে নাই। বৈধ কি অবৈধ তারা বলেছেন এই গুলো ব্যাংকের ট্রানজেকশন এবং বৈধ পথে ট্রানজেকশন। 

মামলার শুনানীর সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,মোহাম্মদ হোসেন ও ফারাহ দিবা।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর হোসেন  ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ । তিনি বলেছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আজ  দুদকের পক্ষ থেকে ২ জন স্বাক্ষী (আবুল মনসুর মোহাম্মদ তোহা ও এম আজিজুল হাকিম) লিখিত স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং জেরা সম্পন্ন হয়েছে ।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

তাদের জিম্মায় এই মামলার কিছু কাগজ পত্র ছিল। তারা সেই জিম্মাকৃত আলামত বিজ্ঞ আদালতে জমা দিয়েছেন ও  উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন তাদের কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে একাউন্ট রিলেটেড ট্রানজেকশন হয়েছে সেই গুলো ঠিক আছে কি না ? তিনি বলেছেন যে সব ঠিক আছে।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকার্য বেলা ১০.৩০ মিনিটে শুরু হলেও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানীর কার্যক্রম শুরু হয় ১১টা ৩০ মিনিটে। আজ কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি  ছিলেন এহসানুল হক সমাজী, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার  ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।

কোম্পানি পক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন,আজকে সাউথইষ্ট ব্যাংক থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট আসছিল ।সেই গুলো ট্রানজেকশন রিলেটেড ও একাউন্ট ফর্ম রিলেটেড । সেই কাগজ গুলো আদালতে জমা হওয়ার পর সেই গুলো বৈধ কি অবৈধ এই প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে,জিম্মাদার যারা ছিলেন তাদের কাছে। তারা কোন উত্তর দিতে পারে নাই। বৈধ কি অবৈধ তারা বলেছেন এই গুলো ব্যাংকের ট্রানজেকশন এবং বৈধ পথে ট্রানজেকশন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা ২ জনের জেরা সম্পন্ন করেছি । আমরা ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান জেনারেল হারুন অর রশিদ,কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,মোহাম্মদ হোসেন ও ফারাহ দিবার পক্ষে জেরা করেছি।

প্রতি সপ্তাহের শুনানীতে মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডেরে বিনিয়োগকারীদের পদচারনায় থাকে পরিপূর্ণ । আজকের শুনানীতে তার কোন ব্যাতিক্রম ঘটেনি।  ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের দাবী এই মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হোক। মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় ।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, ফারাহ দিবাহ । এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলার পরবর্তী শুনানী ১৮ সেপ্টেম্বর

একাউন্ট রিলেটেড ট্রানজেকশন এর উত্তর দিতে পারে নাই দুদকঃ কোম্পানি আইনজীবী

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানী আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। আদালত মামলার শুনানী শেষে পরবর্তী শুনানীর দিন ১৮ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।   

শুনানীতে কোম্পানি পক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন,আজকে সাউথইষ্ট ব্যাংক থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট আসছিল । সেই গুলো ট্রানজেকশন রিলেটেড ও একাউন্ট ফর্ম রিলেটেড । সেই কাগজ গুলো আদালতে জমা হওয়ার পর সেই গুলো বৈধ কি অবৈধ এই প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে,জিম্মাদার যারা ছিলেন তাদের কাছে। তারা কোন উত্তর দিতে পারে নাই। বৈধ কি অবৈধ তারা বলেছেন এই গুলো ব্যাংকের ট্রানজেকশন এবং বৈধ পথে ট্রানজেকশন। 

মামলার শুনানীর সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,মোহাম্মদ হোসেন ও ফারাহ দিবা।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর হোসেন  ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ । তিনি বলেছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আজ  দুদকের পক্ষ থেকে ২ জন স্বাক্ষী (আবুল মনসুর মোহাম্মদ তোহা ও এম আজিজুল হাকিম) লিখিত স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং জেরা সম্পন্ন হয়েছে ।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

তাদের জিম্মায় এই মামলার কিছু কাগজ পত্র ছিল। তারা সেই জিম্মাকৃত আলামত বিজ্ঞ আদালতে জমা দিয়েছেন ও  উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন তাদের কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে একাউন্ট রিলেটেড ট্রানজেকশন হয়েছে সেই গুলো ঠিক আছে কি না ? তিনি বলেছেন যে সব ঠিক আছে।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকার্য বেলা ১০.৩০ মিনিটে শুরু হলেও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানীর কার্যক্রম শুরু হয় ১১টা ৩০ মিনিটে। আজ কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি  ছিলেন এহসানুল হক সমাজী, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার  ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।

কোম্পানি পক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন,আজকে সাউথইষ্ট ব্যাংক থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট আসছিল ।সেই গুলো ট্রানজেকশন রিলেটেড ও একাউন্ট ফর্ম রিলেটেড । সেই কাগজ গুলো আদালতে জমা হওয়ার পর সেই গুলো বৈধ কি অবৈধ এই প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে,জিম্মাদার যারা ছিলেন তাদের কাছে। তারা কোন উত্তর দিতে পারে নাই। বৈধ কি অবৈধ তারা বলেছেন এই গুলো ব্যাংকের ট্রানজেকশন এবং বৈধ পথে ট্রানজেকশন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা ২ জনের জেরা সম্পন্ন করেছি । আমরা ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান জেনারেল হারুন অর রশিদ,কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,মোহাম্মদ হোসেন ও ফারাহ দিবার পক্ষে জেরা করেছি।

প্রতি সপ্তাহের শুনানীতে মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডেরে বিনিয়োগকারীদের পদচারনায় থাকে পরিপূর্ণ । আজকের শুনানীতে তার কোন ব্যাতিক্রম ঘটেনি।  ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের দাবী এই মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হোক। মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় ।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, ফারাহ দিবাহ । এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।