ডেসটিনির এমডি ড. রফিকুল আমিন স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বেকার মুক্ত করা এবং দেশের জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন করা। তাইতো তিনি সুদূর কানাডা থেকে দেশে এসে অনন্য এক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০০০ইং সালে শুরু করে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ সহ প্রায় ৩৭টি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং যার মাধ্যমে করেছিলেন ৪৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান। অথচ তিনি এতসব কিছু করার পর বিনিময়ে দেশের উল্লেখযোগ্য মিডিয়ার মিথ্যাচারে ও দুদকের ভিত্তিহীন মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় স্বেচ্ছায় কারাবরণ সত্যেও বিনাবিচারে প্রায় ১২ বছর যাবৎ জেল খাটছেন!! অথচ দুদকের মিথ্যা অভিযোগ আজ পর্যন্ত আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি!
আমরা হচ্ছি সেই জাতি যারা দুধ দেয়া গাভীকেও লাথি মারি । তাইতো যিনি কষ্ট করে যে দেশ স্বাধীন করার জন্য নেতৃত্ব দিলেন, যার ভাষণে প্রকম্পিত হয়েছিলো শত্রুর বুক! সে বঙ্গবন্ধুকেইতো আমরা মারলাম! সাথে উনার পরিবারকেও। সেই জাতিকে ধিক্কার দেয়ার ভাষাও আমাদের জানা নেই!
বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন অসাম্প্রদায়িক শাশ্বত বাংলার, যার দার্শনিক ভিত হবে লোকায়ত। কৃষক-শ্রমিকের জীবনে উন্নতি ঘটিয়ে তিনি ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। পাহাড়, নদী, সাগর, বনাঞ্চলের লীলাভূমি বাংলাদেশকে বানাতে চেয়েছিলেন প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতির ঐতিহ্যিক রূপকে আধুনিক বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসাতে চেয়েছিলেন। তার একমাত্র চিন্তা ছিল বাঙালির উন্নয়ন সাধন করা।
(কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে পুরো একটা দেশ ও জাতির ভাগ্যের কবর রচনা করা হয়েছিল”!”)
ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন একজন মহান ব্যক্তিঃ
ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন আজ শুধু একটি নাম নয়, ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন আজ মহাগুরু। ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন তিনি অর্ধ কোটি মানুষের প্রাণপুরুষ।
ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন সকল শিক্ষিত-অর্ধ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যারা বিপথে ধাবিত হচ্ছিলো তাদের সুপথে আনার পথ তৈরি করেছিলেন ডেসটিনি-২০০০লিঃ এর মাধ্যমে। কত শিক্ষিত বেকার নেশার মরণ পথ ত্যাগ করে ডেসটিনি-২০০০লিঃ এর ট্রেনিং গ্রহন করে স্যুট-কোট টাই পরে সুপথে এসেছিলো তার হিসাব দেওয়া খুব কষ্টের ব্যপার। ডেসটিনি তথা মহাগুরু এমএলএম পদ্ধতির মাধ্যমে সৎ ভাবে আয়ের পথ দেখেছিলেন লক্ষ লক্ষ বেকার যুব সমাজকে।
ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন ২০০০ইং সাল থেকে শুরু করে ২০১২ সাল পর্যন্ত হাটি হাটি পা পা করে একাধারে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড সহ উল্লেখযোগ্য বৈশাখী মিডিয়া লিঃ, ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারটিভ লিঃ, দৈনিক ডেসটিনি, এয়ার ডেসটিনি লিঃ সহ একে একে প্রায় ৩৭ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।
(তিনি দেশের অন্যতম স্যাটেলাইট টেলিভিশন বৈশাখী টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও দৈনিক ডেসটিনির প্রধান সম্পাদক)।
মহাগুরু ড.মোহাম্মদ রফিকুল আমিন স্যার হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যার চিন্তাধারা এক অনন্য প্রগতিশীল। উনার কথাবার্তার মাধ্যমে পুরো বাংলার বেকার যুবক যুবতীদের পাল্টে দিয়েছিলেন তাদের মনোভাব। নিয়ে এসেছিলেন তাদের ভিতর এক কাজের ধারা। তাদের করছিলেন উজ্জীবিত ও প্রাণবন্ত। উনি বাংলার এই জাতিকে শিখিয়েছেন সুশৃঙ্খলা ও সৃজনশীলতা।
এমন এক অকৃতজ্ঞ জাতির ভাগ্য গড়তে যেয়ে যা হবার ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিনের কপালে তাই ঘটেছে । মানিলন্ডারিং এর মিথ্যা অভিযোগ তোলা হলে এই মহান ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে উনাকে কারাবন্দী হতে হয়েছে, কিন্তু বিচার পেলেন দীর্ঘ ১২বছর । জাতি নিশ্চিত হতে পারলোনা উনি কি মানিলন্ডারিং করেছেন, নাকি করেন নাই?? উনি যদি সত্যিই অপরাধ বা দুর্নীতি করে থাকেন তাহলে এইটি প্রমাণ করতে কি ১২ বছর সময় পার করতে হয়? দীর্ঘ ১২বছরেও আদালত অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি, আর ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হয় না।
উনার অপরাধ ছিলঃ
১.উনি ঋণমুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
২.ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
৩.বেকার মুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
৪.সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
৫.সবার জন্য সু-শিক্ষা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।
৬.সৎ নেতৃত্ব গড়তে চেয়েছিলেন।
৭.দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
৮. দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।
৯.প্রতিশ্রুতিশীল এক জাতি গড়তে চেয়েছিলেন।
১০. দুর্নীতি মুক্ত এক জাতি ও দেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
১১. ২০১২ মধ্যে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান গড়তে চেয়েছিলেন।
১২. দেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ২০১২ মধ্যে দেশে ৬ কোটি চারা গাছ লাগাতে চেয়েছিলেন।
১৩. ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
এই হল উনার বড় অপরাধের বিশাল লিষ্ট!!
উনি এই রাষ্ট্রীয় স্বপ্ন দেখছিলেন বলেই আর সেই সাথে কাজ ও করেছিলেন।
এটাই কি উনার অপরাধ ছিল!?? আপনারাই বলেন!
কিন্তু উনি কখনোই রাজনৈতিক নেতা হয়ে নয় বা রাজনৈতিক নেতা হওয়ার স্বপ্নও দেখেন নাই, শুধু উনার মেধা ও নিজ পদ্ধিতিতে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডে মাধ্যমেই স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন।
এই জন্যেই কি বিনাবিচারে দিনকে দিন রাতকে রাত জেল খাটছেন দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ।
এই বাংলাদেশে বার বার গুনী ব্যক্তিরা আসেন না, কিছু গুনী মানুষ মাঝে মাঝে আসেন। আর আমাদের উচিত কোটি মানুষের ভিতরের হীরক খন্ডকে চিনে তার মেধাকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানো। আর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিন একজন হীরক খন্ড যার মেধা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারতো।
তিনি সব সময় একটা কথাই বলতেন আমি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালোই বলবো। আমি জীবন দিতে প্রস্তুত তবে সত্যের পথ থেকে কখনো পিছ পা হবোনা।
সত্যিই আমরা এক অভাগা জাতি, আমরা ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিনের মত একজন মানুষকে পেয়েও আমাদের এই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারলাম না!
ড. মোহাম্মদ রফিকুল সুদূর কানাডার লাইফ স্টাইল ত্যাগ করে এই জাতির ভাগ্য ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার জন্য এসেছিলেন। অথচ এই দেশের কিছু কুলাঙ্গার হলুদ মিডিয়া ও স্বার্থপরায়ণ কিছু রাঘববোয়ালদের কারনে আজ উনার স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে উনার লাইফ স্টাইলেই পরিবর্তন করে দিলো!!
সর্বোপরি দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডেসটিনির ৪৫লক্ষ ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীগণ আকুল আবেদন করছে ৪৫ লক্ষ ঋণগ্রস্ত, অভাবগ্রস্ত পরিবারের কথা বিবেচনা করে বিনাবিচারে জেলে থাকা প্রিয় প্রাণপুরুষ ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিনকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে আমাদের এই দেশে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিন।