ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মামলার পরবর্তী শুনানী ২৫সেপ্টেম্বর।

নিয়মিত শুনানিতে দ্রুত নিস্পত্তির আশা ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশনের মামলা

  • মোঃ আবুল হাছান ।
  • আপডেট সময় ০৯:০৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলার পরবর্তী শুনানী ২৫সেপ্টেম্বর।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেছেন,ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আজ (গতকাল সোমবার) দুদকের পক্ষ থেকে ২ জন সাক্ষী (সিটি ব্যাংকের শামস রেজা গনি ও  সাউথইষ্ট ব্যাংকের মোঃ খায়রুল হক) লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া সাইদুর রহমানের পক্ষ থেকে লিখিত ডকুমেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এগুলো একেবারে ব্যাংকিং ডকুমেন্টস, তাই আদালত এগুলো গ্রহণ করেছেন।

গতকাল ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন মামলার শুনানী শেষে আগামী ২৫  সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।

গতকাল মহানগর দায়রা জজ আদালতে ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার বিচারকাজ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়। মামলায় কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক সমাজীর সহযোগী এডভোকেট মাসুদ, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ।

পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আজ (গতকাল) আমাদের পক্ষ থেকে ২ জন সাক্ষী লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জিম্মায় এই মামলার কিছু কাগজ পত্র ছিল। তারা সেই আলামত বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে জমা দিয়েছেন। এই ২জন সাক্ষীর জেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের জেরা করবেন না। ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছেন, বলেছেন প্রয়োজন নেই।

ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানী শেষে কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন, ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় আজ (গতকাল) দুদকের পক্ষের দুইজন সাক্ষীর ব্যাংকিং ডকুমেন্টসগুলো আদালত গ্রহন করেছেন। তবে সাক্ষীদের পক্ষ থেকে কোন জেরা হয়নি, জেরা করার প্রয়োজনও হয়নি। উনারা লিখিত যে ডকুমেন্টস দিয়েছেন, তারমধ্যে একাউন্ট ওপেনিং স্টেটমেন্ট ও আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন চলে এসেছে।

গতকাল শুনানীর সময় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও পরিচালক ফারাহ দিবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

বরাবরের মত গতকালও শুনানীর সময় ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে মুখর ছিল আদালত প্রাঙ্গন। ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের দাবী মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হোক। মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন বলে তারা মনে করেন।

গতকাল শুনানি দেখতে রাজশাহী থেকে আদালতে এসেছিলেন বিনিয়োগকারী মোঃ নুরুল ইসলাম নয়ন। নয়ন বলেন, আমরা (বিনিয়োগকারী) একটি ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় রয়েছি। দুদক কখনো বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে মামলা পরিচালনা করেনি। তাই মামলার বয়স প্রায় বারো বছর হতে চললেও বিনিয়োগকারিদের অপেক্ষার দিন আর শেষ হচ্ছে না।

বিনিয়োগকারী স্বার্থের কথা চিন্তা করলে দুদক বিভিন্ন অজুহাতে সময় নষ্ট করতে পারত না। তবে আল্লাহ তালার কাছে লাখ কোটি শুক্রিয়া আদায় করছি এই জন্য যে, ইতিমধ্যে প্রতি সপ্তাহে শুনানীর কাজ শুরু হয়েছে। আমি একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে মনে করি এটি একটি ভাল লক্ষন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তি হবে আশা করছি।

বরিশাল হতে আগত বিনিয়োগকারী মোঃ আতিকুর রহমান চৌধুরী বলেন,দুর্দিনে আমরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কোম্পানির মামলাগুলো নিয়মিত শুনানীর জন্য আমাদের মত সাধারন বিনিয়োগকারীরা সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি পূর্বের ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি মামলার মত এই মামলাটির নিস্পিত্তি হতে লম্বা সময় লাগবে না।

৪৫ লক্ষ বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকগন আজ অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অনেকেই বসবাস করছে। এমন কি নিজের গ্রামে যেতে পারছে না। আমি বিশ্বাস করি মাননীয় আদালত এখন যে ভাবে প্রতি সপ্তাহে শুনানী শুরু করেছেন,হয়ত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা রেজাল্ট পেয়ে যাব।

মাদারীপুরের জেলা হতে আগত বিনিয়োগকারী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের টাকা সঠিকভাবে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের কান্ডারী মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। আমি একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে বলতে পারি উনার প্রতি শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস আছে আমাদের।

তিনি আরও বলেন,ন্যায়ের পথে সাহস করে ঘুরে দাঁড়ালে পরিস্থিতি যে কোন সময় বদলে যেতে পারে। মোহাম্মদ রফিকুল আমিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের American World University থেকে Masters of Business Administration ডিগ্রী প্রাপ্ত পরবর্তীতে বিশ্ববিখ্যাত California University থেকে MLM এর উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং সেখানে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৪০০ পৃষ্ঠার একটা থিসিস লিখেন। তিনি একই সাথে বাংলাদেশ এবং কানাডার নাগরিক ।

বাংলাদেশ দাবা খেলায় তিনি গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। সুতারাং এই প্রতিষ্ঠানের সকল কিছু তার নক দর্পণে আছে। উনি বিনিয়োগকারীদের সকল বিনিয়োগের টাকা সঠিক ভাবে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য জেলখানায় বসে সকল পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রেখেছেন। এখন শুধু আদালত যেই নির্দেশনা দিবেন,সেইভাবে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন।

উল্লেখ্য যে, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন,ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।

মামলার পরবর্তী শুনানী ২৫সেপ্টেম্বর।

নিয়মিত শুনানিতে দ্রুত নিস্পত্তির আশা ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশনের মামলা

আপডেট সময় ০৯:০৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেছেন,ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আজ (গতকাল সোমবার) দুদকের পক্ষ থেকে ২ জন সাক্ষী (সিটি ব্যাংকের শামস রেজা গনি ও  সাউথইষ্ট ব্যাংকের মোঃ খায়রুল হক) লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া সাইদুর রহমানের পক্ষ থেকে লিখিত ডকুমেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এগুলো একেবারে ব্যাংকিং ডকুমেন্টস, তাই আদালত এগুলো গ্রহণ করেছেন।

গতকাল ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন মামলার শুনানী শেষে আগামী ২৫  সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।

গতকাল মহানগর দায়রা জজ আদালতে ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার বিচারকাজ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়। মামলায় কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক সমাজীর সহযোগী এডভোকেট মাসুদ, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ।

পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আজ (গতকাল) আমাদের পক্ষ থেকে ২ জন সাক্ষী লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জিম্মায় এই মামলার কিছু কাগজ পত্র ছিল। তারা সেই আলামত বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে জমা দিয়েছেন। এই ২জন সাক্ষীর জেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের জেরা করবেন না। ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছেন, বলেছেন প্রয়োজন নেই।

ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানী শেষে কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন, ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় আজ (গতকাল) দুদকের পক্ষের দুইজন সাক্ষীর ব্যাংকিং ডকুমেন্টসগুলো আদালত গ্রহন করেছেন। তবে সাক্ষীদের পক্ষ থেকে কোন জেরা হয়নি, জেরা করার প্রয়োজনও হয়নি। উনারা লিখিত যে ডকুমেন্টস দিয়েছেন, তারমধ্যে একাউন্ট ওপেনিং স্টেটমেন্ট ও আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন চলে এসেছে।

গতকাল শুনানীর সময় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও পরিচালক ফারাহ দিবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

বরাবরের মত গতকালও শুনানীর সময় ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে মুখর ছিল আদালত প্রাঙ্গন। ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের দাবী মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হোক। মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন বলে তারা মনে করেন।

গতকাল শুনানি দেখতে রাজশাহী থেকে আদালতে এসেছিলেন বিনিয়োগকারী মোঃ নুরুল ইসলাম নয়ন। নয়ন বলেন, আমরা (বিনিয়োগকারী) একটি ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় রয়েছি। দুদক কখনো বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে মামলা পরিচালনা করেনি। তাই মামলার বয়স প্রায় বারো বছর হতে চললেও বিনিয়োগকারিদের অপেক্ষার দিন আর শেষ হচ্ছে না।

বিনিয়োগকারী স্বার্থের কথা চিন্তা করলে দুদক বিভিন্ন অজুহাতে সময় নষ্ট করতে পারত না। তবে আল্লাহ তালার কাছে লাখ কোটি শুক্রিয়া আদায় করছি এই জন্য যে, ইতিমধ্যে প্রতি সপ্তাহে শুনানীর কাজ শুরু হয়েছে। আমি একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে মনে করি এটি একটি ভাল লক্ষন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তি হবে আশা করছি।

বরিশাল হতে আগত বিনিয়োগকারী মোঃ আতিকুর রহমান চৌধুরী বলেন,দুর্দিনে আমরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কোম্পানির মামলাগুলো নিয়মিত শুনানীর জন্য আমাদের মত সাধারন বিনিয়োগকারীরা সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি পূর্বের ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি মামলার মত এই মামলাটির নিস্পিত্তি হতে লম্বা সময় লাগবে না।

৪৫ লক্ষ বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকগন আজ অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অনেকেই বসবাস করছে। এমন কি নিজের গ্রামে যেতে পারছে না। আমি বিশ্বাস করি মাননীয় আদালত এখন যে ভাবে প্রতি সপ্তাহে শুনানী শুরু করেছেন,হয়ত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা রেজাল্ট পেয়ে যাব।

মাদারীপুরের জেলা হতে আগত বিনিয়োগকারী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের টাকা সঠিকভাবে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের কান্ডারী মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। আমি একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে বলতে পারি উনার প্রতি শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস আছে আমাদের।

তিনি আরও বলেন,ন্যায়ের পথে সাহস করে ঘুরে দাঁড়ালে পরিস্থিতি যে কোন সময় বদলে যেতে পারে। মোহাম্মদ রফিকুল আমিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের American World University থেকে Masters of Business Administration ডিগ্রী প্রাপ্ত পরবর্তীতে বিশ্ববিখ্যাত California University থেকে MLM এর উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং সেখানে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৪০০ পৃষ্ঠার একটা থিসিস লিখেন। তিনি একই সাথে বাংলাদেশ এবং কানাডার নাগরিক ।

বাংলাদেশ দাবা খেলায় তিনি গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। সুতারাং এই প্রতিষ্ঠানের সকল কিছু তার নক দর্পণে আছে। উনি বিনিয়োগকারীদের সকল বিনিয়োগের টাকা সঠিক ভাবে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য জেলখানায় বসে সকল পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রেখেছেন। এখন শুধু আদালত যেই নির্দেশনা দিবেন,সেইভাবে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন।

উল্লেখ্য যে, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন,ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।