ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ‍দূতাবাসের ফেসবুক পেজ

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও আসতে পারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা

  • ডেসটিনি ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্য আরো স্পষ্ট করেছে দূতাবাস।

আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত হাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‌আমরা ‌(ভিসা বিধি-নিষেধ) নীতিটি সরকারপন্থী, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য বা গণমাধ্যমের সদস্য নির্বিশেষে যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি (বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার দায়ে)।

এর আগে গতকাল রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যমও বিধি-নিষেধের আওতায় আসতে পারে বলে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে কেউ ভিসানীতির শিকার হতে পারে। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গত রাতে এ বিষয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করেছেন এমন যে কারো ওপর মার্কিন ভিসানীতির আওতায় ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার উদাহরণ হিসেবে তিনি ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত ও সংগঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে মত প্রকাশ বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ব্যাপক ও যথেষ্ট মাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করবে না।

ভিসানীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন নামের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র এ কথা জানান।

 

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ‍দূতাবাসের ফেসবুক পেজ

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও আসতে পারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:২৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্য আরো স্পষ্ট করেছে দূতাবাস।

আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত হাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‌আমরা ‌(ভিসা বিধি-নিষেধ) নীতিটি সরকারপন্থী, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য বা গণমাধ্যমের সদস্য নির্বিশেষে যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি (বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার দায়ে)।

এর আগে গতকাল রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যমও বিধি-নিষেধের আওতায় আসতে পারে বলে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে কেউ ভিসানীতির শিকার হতে পারে। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গত রাতে এ বিষয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করেছেন এমন যে কারো ওপর মার্কিন ভিসানীতির আওতায় ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার উদাহরণ হিসেবে তিনি ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত ও সংগঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে মত প্রকাশ বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ব্যাপক ও যথেষ্ট মাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করবে না।

ভিসানীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন নামের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র এ কথা জানান।