ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সদস্য

বাগানে গাছ আছে কি না দেখার জন্য সরেজমিনে যাওয়া হয়নি : এনামুল হক মুজুমদার

  • মোঃ আবুল হাছান
  • আপডেট সময় ১২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৫০০ বার পড়া হয়েছে

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর যুক্তিতর্কের শুনানিতে তদন্ত কমিটির সদস্য এনামুল হক মুজুমদার বলেছেন, বাগানে গাছ আছে কীনা দেখার জন্য সরেজমিন যাওয়া হয়নি।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সদস্য এনামুল হক মজুমদার আরো বলেন, ২০১২ সালে ডেসটিনি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আমি এই কমিটির একজন সদস্য হিসাবে ইতিপূর্বে আদালতে তদন্ত  রিপোর্টটি জমা দিয়েছিলাম। আজকে (গতকাল সোমবার) এই রিপোর্টের উপর যুক্তি তর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর উপস্থিতে মামলার শুনানীর কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে আদালতের শুনানীর কার্যক্রম। শুনানী শেষে আদালত আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ।

অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  এডভোকেট এহসানুল হক  সমাজীর সহযোগী এডভোকেট মাসুদ, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

দুদক এর পক্ষে পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ বলেন, আজ (গতকাল সোমবার) ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আমাদের (দুদক) পক্ষ থেকে ২ জন সাক্ষী লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং যুক্তিতর্কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২জন সাক্ষীর মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সদস্য এনামুল হক মুজুমদার ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিসার হাসান মাহমুদ এর পরিবর্তে সিনিয়র অফিসার মোঃ শাহেদ মিয়া।

মামলার শুনানী শেষে ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি মোঃ শাহীনুর ইসলাম, দৈনিক ডেসটিনিকে বলেন,  আজ দুদকের পক্ষের দুইজন সাক্ষী লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং যুক্তিতর্কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গ্রুপের অন্যান্য যেসব অঙ্গ সংগঠন আছে তাদের মধ্যে ডেসটিনি টি প্লটেশন লিমিটেডের একটি অধ্যায় আছে । আজকে সেই সম্পর্কে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন । একটা তদন্ত কমিটি হয়েছিল তার একটি রিপোর্ট আজকে আদালতে জমা দিয়েছিলেন এবং তার বিষয়ে যুক্তি তর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজকে (গতকাল) এনামুল হক মুজুমদারকে জেরা করা হয়েছে । এই তদন্ত রিপোর্টটা কিসের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে সরেজমিনে গিয়ে করেছেন কিনা, তাদের মতামতের বেসিসটা কি ছিল-আমরা সেটা তাদেরকে জেরা করেছি।

যুক্তিকর্কের বিষয়ে এই আইনজীবি আরো বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা যে গাছগুলো বিক্রি করেছি সে গাছগুলো রোপন করা হয়নি। উনারা সরেজমিনে না গিয়েই সে রিপোর্টটি করেছেন। আবার কিছু কিছু জায়গায় বলা হয়েছে গাছ রোপন করা হয়েছে সব গাছ গননা করা হয়নি।

ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি আরো বলেন,  তিনি (এনামুল হক মুজুমদার) উল্লেখ করেছেন গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছে। আমরা এই জন্য প্রশ্ন করেছি-যেহেতু কোম্পানি টাকা নিয়েছে আপনারা (এনামুল হক মুজুমদার) কি সরেজমিনে গিয়েছিলেন গাছগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার জন্য। তিনি (এনামুল হক মুজুমদার) বলেন যে না আমরা সরেজমিনে যাইনি। ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি তখন বলেন ‘না গিয়ে তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে আপনারা রিপোর্টটা করলেন’। তাহলে একটা প্রশ্ন থেকে যায় এটা আমরা উপস্থাপন করেছি। কোন বিনিয়োগকারী বলে নাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

আমরা বেসিসটা খুঁজে পাইনি এখানে শুধুমাত্র একটা দুইশত পঞ্চাশ পাতার একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য করে  ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি বলেন, সেই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত কোন ডকুমেন্ট নেই। উনারা বলেছেন ৩২৭ কোটি অবৈধ লেনদেন। কিন্তু অবৈধ লেনদেন হওয়ার জন্য একটি ক্রাইটেরিয়া প্রয়োজন। সেই রিপোর্টে তারা কোন ক্রাইটেরিয়া উল্লেখ করে নাই। অপর আরেকজন সাক্ষী   এসেছিলেন হাসান মাহমুদ এর পরিবর্তে। তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ।

ব্যাংকের ডকুমেন্টসগুলো হাসান মাহমুদ এর পরিবর্তে ওই  অফিসার সাবমিট করেছেন উল্লেখ করে ডেসটিনির আইনজীবি বলেন, বর্তমানে তিনি   ব্যাংকে নেই, বদলি হয়ে গেছেন ।  উনার জব্দকৃত  আলামতগুলো আজকে উনি আদালতে সাবমিট করেছেন। ব্যাংক থেকে উনাকে পাঠানো হয়েছে সেজন্য উনি আদালতে নিয়ে এসেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন হাসান মাহমুদ এর কাছ থেকে সবগুলো বিষয় বুঝে পান নাই।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম আদালতে যুক্তিতর্কের সময় ২জন  সাক্ষীকে  যে প্রশ্নগুলো করেছিলেন হুবহু তা তুলে ধরা হলঃ

আইনজীবী শাহিনুরঃ (এনামুল হক মুজুমদারকে প্রশ্ন করেন) অডিটি রিপোর্ট সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা আছে কিনা ?

এনামুল হকঃ  না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ এ রিপোর্ট তৈরি করার সময় ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের আপনি সাক্ষাৎকার নিয়ে ছিলেন ? কোন গ্রাহককের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল কিনা ?

এনামুল হকঃ আমার জানামতে নেওয়া হয়নি মনে হয় ।  না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ  তদন্ত রিপোর্টে গাছ বিক্রয়ের বিষয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের কোন প্রকার আপত্তি আছে, আর এই জাতীয় কোন প্রকার ডকুমেন্টস কি সাবমিট করতে পেরেছেন বা আপনাদের কাছে ছিল ?

 এনামুল হকঃ আমার জানামতে ছিল না

আইনজীবী শাহিনুরঃ  এই প্রতিষ্ঠানে কোন গ্রাহকের কোন আপত্তি ছিল ?

এনামুল হকঃ না কোন আপত্তি ছিল না

আইনজীবী শাহিনুরঃ  যে সকল একাউন্টে লেনদেন আছে সে সকল অ্যাকাউন্টের ফিরিস্তি কি আছে আপনাদের কাছে ?

এনামুল হকঃ জমা দিয়েছি

আইনজীবী শাহিনুরঃ  ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের পার্বত্য জেলায় গাছ রোপণের অনুমতি ছিল কিনা – এই বিষয়ের কোন প্রকার পেপার কি আপনারা এর সাথে যুক্ত করে তদন্ত রিপোর্টের সাথে জমা দিতে পেরেছিলেন ?

এনামুল হকঃ আমার জানা নেই।

আইনজীবী শাহিনুরঃ  ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের গ্রাহকদের কাছে বিক্রয়কৃত গাছ রোপন হয়েছে কিনা দেখার জন্য আপনারা সারেজমিনে গিয়েছিলেন তদন্ত করার জন্য ?

 এনামুল হকঃ  না যাওয়া হয়নি।

আইনজীবী শাহিনুরঃ তাহলে কোন রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আপনারা বলেছেন ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের গাছ লাগানো হয়নি, আবার আপনারা সরেজমিনে যাননি। এটা রিপোর্টে উল্লেখ নেই গাছ লাগানো সংক্রান্ত সরেজমিনে তদন্তের বিষয়ে। এমন কোন বিষয় প্রতিবেদনে নাই ।

 এনামুল হকঃ আমার জানা নেই।

আইনজীবী শাহিনুরঃ বিভিন্ন প্যাকেজের গাছের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল,এটা কি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন ?

এনামুল হকঃ তিনি বলেন আমার এই মুহূর্তে মনে নেই। প্যাকেজের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিনা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না ।

আইনজীবী শাহিনুরঃ এই রিপোর্ট তৈরি করার সময় আপনারা পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিলেন তখন আপনারা বিভিন্ন জায়গায় বা সরেজমিনে যাওয়ার সময় থাকলেও আপনার যাননি।

এনামুল হকঃ তিনি বলেন আমাদের নির্ধারিত সময় দেওয়া ছিল।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ডেসটিনি গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে এমন কোন প্রকার ডকুমেন্ট আপনারা পেয়েছিলেন বা এগুলো সাবমিট করতে পেরেছেন। এগুলো আপনাদের মনগড়া এবং কাল্পনিকভাবে আপনারা রিপোর্ট তৈরি করেছেন ।

এনামুল হকঃ তিনি বলেন সঠিক নয়।

আইনজীবী শাহিনুরঃ ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেড এর এই কোম্পানির প্যাকেজ মার্কেটিং করার জন্য ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর যে কমিশনের টাকা  দিয়েছে এই টাকা টা অবৈধ এমন কোন ডিক্লারেশন কী আপনারা পেয়েছিলেন ?

এনামুল হকঃ তিনি বলেন না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আর্থিক অনিয়মের ৩২৭ কোটি টাকার কোন ডকুমেন্টস আপনারা সাবমিট করতে পারেন নাই। এটার কোন ডকুমেন্টস আপনাদের কাছে আছে ?

এনামুল হকঃ রিপোর্টে ব্যাখ্যা আছে না দেখে বলতে পারব না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনার তদন্ত প্রতিবেদনে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে ফারাহ দিবা পরিচালক হিসেবে আছেন কিনা সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত বলতে পারবেন ?

এনামুল হকঃ আমার জানা নেই ।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনার রিপোর্টটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক মনগড়া এবং তথ্যবিহীনভাবে তৈরী করে জমা দিয়েছেন।

 এনামুল হকঃ সত্য নয়।

এডভোকেট এহসানুল হক সমাজীঃ আপনি যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এবং তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন  উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যতা  নেই। এই ডকুমেন্টস তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত না। এই প্রতিবেদনের যাবতীয় বর্ণনা অনুমাননির্ভর, মনগড়া, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন।

এনামুল হকঃ সত্য নয়।

এডভোকেট এহসানুল হক সমাজীঃ আপনারা আসামিদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে ও সরেজমিনে না গিয়ে মনগড়া ভিত্তিহীন কাল্পনিক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন এবং আদালতে জমা দিয়েছেন। আপনাদের এই দাবি অসত্য।

 এনামুল হকঃ সত্য নয়।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনি এই সকল কাগজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন কিনা ?

ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারঃ (হাসান মাহমুদ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত । তার পরিবর্তে দুদক আমাকে (মোঃ শাহেদ মিয়া) সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেন) আমি কাগজপত্রগুলো ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি এবং আদালতে দাখিল করছি। পূর্বে যিনি ছিলেন তিনি আমাকে এই কাগজগুলো বুঝিয়ে দেননি। আমার এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই।

আজ (গতকাল) শুনানীতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক ফারাহ দিবা।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।

মধুখালীতে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রস্তুতিমূলক সভা 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সদস্য

বাগানে গাছ আছে কি না দেখার জন্য সরেজমিনে যাওয়া হয়নি : এনামুল হক মুজুমদার

আপডেট সময় ১২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর যুক্তিতর্কের শুনানিতে তদন্ত কমিটির সদস্য এনামুল হক মুজুমদার বলেছেন, বাগানে গাছ আছে কীনা দেখার জন্য সরেজমিন যাওয়া হয়নি।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সদস্য এনামুল হক মজুমদার আরো বলেন, ২০১২ সালে ডেসটিনি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আমি এই কমিটির একজন সদস্য হিসাবে ইতিপূর্বে আদালতে তদন্ত  রিপোর্টটি জমা দিয়েছিলাম। আজকে (গতকাল সোমবার) এই রিপোর্টের উপর যুক্তি তর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর উপস্থিতে মামলার শুনানীর কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে আদালতের শুনানীর কার্যক্রম। শুনানী শেষে আদালত আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ।

অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  এডভোকেট এহসানুল হক  সমাজীর সহযোগী এডভোকেট মাসুদ, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

দুদক এর পক্ষে পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ বলেন, আজ (গতকাল সোমবার) ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আমাদের (দুদক) পক্ষ থেকে ২ জন সাক্ষী লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং যুক্তিতর্কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২জন সাক্ষীর মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সদস্য এনামুল হক মুজুমদার ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিসার হাসান মাহমুদ এর পরিবর্তে সিনিয়র অফিসার মোঃ শাহেদ মিয়া।

মামলার শুনানী শেষে ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি মোঃ শাহীনুর ইসলাম, দৈনিক ডেসটিনিকে বলেন,  আজ দুদকের পক্ষের দুইজন সাক্ষী লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং যুক্তিতর্কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গ্রুপের অন্যান্য যেসব অঙ্গ সংগঠন আছে তাদের মধ্যে ডেসটিনি টি প্লটেশন লিমিটেডের একটি অধ্যায় আছে । আজকে সেই সম্পর্কে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন । একটা তদন্ত কমিটি হয়েছিল তার একটি রিপোর্ট আজকে আদালতে জমা দিয়েছিলেন এবং তার বিষয়ে যুক্তি তর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজকে (গতকাল) এনামুল হক মুজুমদারকে জেরা করা হয়েছে । এই তদন্ত রিপোর্টটা কিসের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে সরেজমিনে গিয়ে করেছেন কিনা, তাদের মতামতের বেসিসটা কি ছিল-আমরা সেটা তাদেরকে জেরা করেছি।

যুক্তিকর্কের বিষয়ে এই আইনজীবি আরো বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা যে গাছগুলো বিক্রি করেছি সে গাছগুলো রোপন করা হয়নি। উনারা সরেজমিনে না গিয়েই সে রিপোর্টটি করেছেন। আবার কিছু কিছু জায়গায় বলা হয়েছে গাছ রোপন করা হয়েছে সব গাছ গননা করা হয়নি।

ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি আরো বলেন,  তিনি (এনামুল হক মুজুমদার) উল্লেখ করেছেন গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছে। আমরা এই জন্য প্রশ্ন করেছি-যেহেতু কোম্পানি টাকা নিয়েছে আপনারা (এনামুল হক মুজুমদার) কি সরেজমিনে গিয়েছিলেন গাছগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার জন্য। তিনি (এনামুল হক মুজুমদার) বলেন যে না আমরা সরেজমিনে যাইনি। ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি তখন বলেন ‘না গিয়ে তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে আপনারা রিপোর্টটা করলেন’। তাহলে একটা প্রশ্ন থেকে যায় এটা আমরা উপস্থাপন করেছি। কোন বিনিয়োগকারী বলে নাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

আমরা বেসিসটা খুঁজে পাইনি এখানে শুধুমাত্র একটা দুইশত পঞ্চাশ পাতার একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য করে  ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি বলেন, সেই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত কোন ডকুমেন্ট নেই। উনারা বলেছেন ৩২৭ কোটি অবৈধ লেনদেন। কিন্তু অবৈধ লেনদেন হওয়ার জন্য একটি ক্রাইটেরিয়া প্রয়োজন। সেই রিপোর্টে তারা কোন ক্রাইটেরিয়া উল্লেখ করে নাই। অপর আরেকজন সাক্ষী   এসেছিলেন হাসান মাহমুদ এর পরিবর্তে। তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ।

ব্যাংকের ডকুমেন্টসগুলো হাসান মাহমুদ এর পরিবর্তে ওই  অফিসার সাবমিট করেছেন উল্লেখ করে ডেসটিনির আইনজীবি বলেন, বর্তমানে তিনি   ব্যাংকে নেই, বদলি হয়ে গেছেন ।  উনার জব্দকৃত  আলামতগুলো আজকে উনি আদালতে সাবমিট করেছেন। ব্যাংক থেকে উনাকে পাঠানো হয়েছে সেজন্য উনি আদালতে নিয়ে এসেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন হাসান মাহমুদ এর কাছ থেকে সবগুলো বিষয় বুঝে পান নাই।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।

ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম আদালতে যুক্তিতর্কের সময় ২জন  সাক্ষীকে  যে প্রশ্নগুলো করেছিলেন হুবহু তা তুলে ধরা হলঃ

আইনজীবী শাহিনুরঃ (এনামুল হক মুজুমদারকে প্রশ্ন করেন) অডিটি রিপোর্ট সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা আছে কিনা ?

এনামুল হকঃ  না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ এ রিপোর্ট তৈরি করার সময় ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের আপনি সাক্ষাৎকার নিয়ে ছিলেন ? কোন গ্রাহককের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল কিনা ?

এনামুল হকঃ আমার জানামতে নেওয়া হয়নি মনে হয় ।  না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ  তদন্ত রিপোর্টে গাছ বিক্রয়ের বিষয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের কোন প্রকার আপত্তি আছে, আর এই জাতীয় কোন প্রকার ডকুমেন্টস কি সাবমিট করতে পেরেছেন বা আপনাদের কাছে ছিল ?

 এনামুল হকঃ আমার জানামতে ছিল না

আইনজীবী শাহিনুরঃ  এই প্রতিষ্ঠানে কোন গ্রাহকের কোন আপত্তি ছিল ?

এনামুল হকঃ না কোন আপত্তি ছিল না

আইনজীবী শাহিনুরঃ  যে সকল একাউন্টে লেনদেন আছে সে সকল অ্যাকাউন্টের ফিরিস্তি কি আছে আপনাদের কাছে ?

এনামুল হকঃ জমা দিয়েছি

আইনজীবী শাহিনুরঃ  ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের পার্বত্য জেলায় গাছ রোপণের অনুমতি ছিল কিনা – এই বিষয়ের কোন প্রকার পেপার কি আপনারা এর সাথে যুক্ত করে তদন্ত রিপোর্টের সাথে জমা দিতে পেরেছিলেন ?

এনামুল হকঃ আমার জানা নেই।

আইনজীবী শাহিনুরঃ  ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের গ্রাহকদের কাছে বিক্রয়কৃত গাছ রোপন হয়েছে কিনা দেখার জন্য আপনারা সারেজমিনে গিয়েছিলেন তদন্ত করার জন্য ?

 এনামুল হকঃ  না যাওয়া হয়নি।

আইনজীবী শাহিনুরঃ তাহলে কোন রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আপনারা বলেছেন ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের গাছ লাগানো হয়নি, আবার আপনারা সরেজমিনে যাননি। এটা রিপোর্টে উল্লেখ নেই গাছ লাগানো সংক্রান্ত সরেজমিনে তদন্তের বিষয়ে। এমন কোন বিষয় প্রতিবেদনে নাই ।

 এনামুল হকঃ আমার জানা নেই।

আইনজীবী শাহিনুরঃ বিভিন্ন প্যাকেজের গাছের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল,এটা কি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন ?

এনামুল হকঃ তিনি বলেন আমার এই মুহূর্তে মনে নেই। প্যাকেজের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিনা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না ।

আইনজীবী শাহিনুরঃ এই রিপোর্ট তৈরি করার সময় আপনারা পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিলেন তখন আপনারা বিভিন্ন জায়গায় বা সরেজমিনে যাওয়ার সময় থাকলেও আপনার যাননি।

এনামুল হকঃ তিনি বলেন আমাদের নির্ধারিত সময় দেওয়া ছিল।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ডেসটিনি গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে এমন কোন প্রকার ডকুমেন্ট আপনারা পেয়েছিলেন বা এগুলো সাবমিট করতে পেরেছেন। এগুলো আপনাদের মনগড়া এবং কাল্পনিকভাবে আপনারা রিপোর্ট তৈরি করেছেন ।

এনামুল হকঃ তিনি বলেন সঠিক নয়।

আইনজীবী শাহিনুরঃ ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেড এর এই কোম্পানির প্যাকেজ মার্কেটিং করার জন্য ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর যে কমিশনের টাকা  দিয়েছে এই টাকা টা অবৈধ এমন কোন ডিক্লারেশন কী আপনারা পেয়েছিলেন ?

এনামুল হকঃ তিনি বলেন না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আর্থিক অনিয়মের ৩২৭ কোটি টাকার কোন ডকুমেন্টস আপনারা সাবমিট করতে পারেন নাই। এটার কোন ডকুমেন্টস আপনাদের কাছে আছে ?

এনামুল হকঃ রিপোর্টে ব্যাখ্যা আছে না দেখে বলতে পারব না।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনার তদন্ত প্রতিবেদনে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে ফারাহ দিবা পরিচালক হিসেবে আছেন কিনা সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত বলতে পারবেন ?

এনামুল হকঃ আমার জানা নেই ।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনার রিপোর্টটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক মনগড়া এবং তথ্যবিহীনভাবে তৈরী করে জমা দিয়েছেন।

 এনামুল হকঃ সত্য নয়।

এডভোকেট এহসানুল হক সমাজীঃ আপনি যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এবং তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন  উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যতা  নেই। এই ডকুমেন্টস তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত না। এই প্রতিবেদনের যাবতীয় বর্ণনা অনুমাননির্ভর, মনগড়া, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন।

এনামুল হকঃ সত্য নয়।

এডভোকেট এহসানুল হক সমাজীঃ আপনারা আসামিদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে ও সরেজমিনে না গিয়ে মনগড়া ভিত্তিহীন কাল্পনিক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন এবং আদালতে জমা দিয়েছেন। আপনাদের এই দাবি অসত্য।

 এনামুল হকঃ সত্য নয়।

আইনজীবী শাহিনুরঃ আপনি এই সকল কাগজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন কিনা ?

ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারঃ (হাসান মাহমুদ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত । তার পরিবর্তে দুদক আমাকে (মোঃ শাহেদ মিয়া) সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেন) আমি কাগজপত্রগুলো ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি এবং আদালতে দাখিল করছি। পূর্বে যিনি ছিলেন তিনি আমাকে এই কাগজগুলো বুঝিয়ে দেননি। আমার এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই।

আজ (গতকাল) শুনানীতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক ফারাহ দিবা।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন, ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।