দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে ড. মোঃ রফিকুল আমিন কানাডার রাজকীয় ও বিলাসী জীবন ত্যাগ করে ২০০০ইং সালে দেশের আইনগত সকল প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন নিয়ে বেকারত্ব লাঘবের মাধ্যমে যেন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে সেই উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে যেন আরও উদ্যোক্তা তৈরী করে দেশের বেকারত্ব লাঘব করা যায় সেইজন্য তিনি ডেসটিনি-২০০০ লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানটির জন্ম দিয়ে গতানুগতিক ট্র্যাডিশনাল ব্যবসা না করে যেই বিষয় নিয়ে ডক্টরেট করেছিলেন সেই মাল্টিলেভেল পদ্ধতি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
১২টি বছর নিজের সন্তানের মতো করে যে মানুষটি ডেসটিনি-২০০০ লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে তিল তিল করে প্রতিষ্ঠিত করে পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরও ৩৭টি কোম্পানীর জন্ম দিয়ে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ’কে গ্রুপ অব কোম্পানিতে পরিণত করেছিলেন। সেই স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানীর চেয়ারম্যান ড. রফিকুল আমিন আজ একটি স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে প্রায় একযুগ দুর্বিসহ বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। আর ওই স্বার্থান্বেষী মহলটির মনগড়া ও মিথ্যা প্রতারণার অভিযোগ তুলে ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটরদের পক্ষে অতিদরদী সেজে, মেকি ভালোবাসার ফাঁদ পেতে ডেসটিনিকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। যেই স্বার্থান্বেষী মহলটি ডেসটিনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এখনো নিরন্তর কাগজ-কলমের শ্রাদ্ধ করছে তাদের উদ্দেশ্যে ডিস্ট্রিবিউটররা গত একযুগ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বলে যাচ্ছেন, দোহাই লাগে ডেসটিনি পরিবারের সঙ্গে ৪৫ লাখ মানুষ জড়িত, যার মাধ্যমে এখান থেকে তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হচ্ছে, দয়া করে এই ৪৫ লাখ মানুষের রুটি-রুজি নিয়ে, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলবেন না। একযুগেও এই ৪৫ লাখ ডিস্ট্রিবিউটরের কেউ কি কখনো অভিযোগ করেছেন যে তিনি ডেসটিনি ও শীর্ষ কর্মকর্তা ড. রফিকুল আমিনের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন? মনে রাখতে হবে কল্পনা আর বাস্তব এক নয়, শোনা, দেখার ও বুঝার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
আসলে ডেসটিনির বিরুদ্ধে ঐ স্বার্থান্বেষী মহলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে একটি গল্প মনে পড়ল। ‘এক লোক প্রাণ ভয়ে দৌড়াচ্ছে আর হাঁপাচ্ছে, দৌড়াচ্ছে আর হাঁপাচ্ছে। তার এ অবস্থা দেখে এক মুরব্বী জিজ্ঞেস করল, কী রে, তোর কী হয়েছে? এভাবে দৌড়াচ্ছিস কেন? সে বলল, ‘আর বইলেন না চাচা, আমি ওই জঙ্গলের পাশ দিয়ে আসছি, হঠাৎ দেখি, ওই জঙ্গলের মধ্যে ১০০টি বাঘ!’ মুরব্বী চাচা শুনে তো অবাক! চাচা তাকে ধমক দিয়ে বলল, ‘দূর বোকা, এখানে এত বাঘ কোথা থেকে এলো?’ লোকটি বলল, ‘দেখেন চাচা, ১০০ না হলেও ৫০টি তো হবে!’ চাচা আবার ধমক দিলে বলল, ‘দূর, এত বাঘ এ এলাকায় আছে, কখনো তো শুনিনি!’ লোকটি এবার বলল, ‘চাচা, বিশ্বাস করেন, এত না হলেও ২০টি বাঘ তো অবশ্যই হবে।’ চাচা এবার রাগ সংবরণ করে বলল, ‘বোকা বলে কী! ২০টি বাঘ এই জঙ্গলে থাকতেই পারে না।’ লোকটি এবার ভাবল, চাচা তাকে বোকা ভাবছে; কিন্তু তাকে কী করে বিশ্বাস করাই। এবার গলায় আরেকটু জোর সঞ্চয় করে বলল, ‘দেখেন চাচা, আপনি বিশ্বাস করেন আর না-ই করেন, পাঁচটি বাঘ যে আছে, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।’ চাচা এবার বুঝে ফেলল, লোকটি একশ ভাগ বোকা অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী। তাই তাকে জোরে একটা ধমক দিয়ে বলল, ‘ব্যাটা ফাজিল, পাঁচটি বাঘের পাশ দিয়ে তুই এলি, আর বাঘগুলো তোকে এমনি এমনি ছেড়ে দিল? হতচ্ছাড়া কোথাকার!’ এবার লোকটির চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। সে মাথা নিচের দিকে নামিয়ে কাঁচুমাচু করে বলল, ‘চাচা, তাহলে জঙ্গলের মধ্যে শব্দ করল কে?’ গল্পের সেই বাঘ দেখার মতো এবং নিজের কান চেক না করে অন্যের কথায় “চিলে কান নিয়ে গেছে”র মত কিছু ব্যক্তি ডেসটিনির নামে মনগড়া প্রতারণার অভিযোগ তুলে আগাম মন্তব্য করেছে, ডেসটিনি কিছুদিন পর ভেগে যেতে পারে এবং সামঞ্জ্যহীন হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছিল ডেসটিনির শীর্ষ কর্মকর্তাগণ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, তারা ডেসটিনির কার্যক্রম সম্পর্কে কিছুই জানে না, তারা ডেসটিনির কোনো ডিস্ট্রিবিউটরও না। শুধু তা-ই নয়, প্রতারণার কথা কার কাছ থেকে শুনেছে তাও সঠিকভাবে বলতে পারবে না তারা। তাই তাদের প্রতি ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটরদের নিবেদন, সঠিক তথ্য না জেনে শুধু বিরোধ বা হিংসার কারণে বিরোধিতা করবেন না। প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরার চেষ্টা করুন। ডেসটিনি কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে ব্যবসা করে সে বিষয় সম্পর্কে আগে জানতে হবে, সেই সিস্টেম সম্পর্কে আগে অবগত হতে হবে।কারণ নেটওয়ার্ক বা মাল্টিলেভেল সিস্টেমটা এ রকম যে এক বছরের মধ্যে এগারো মাসে যে কাজ হবে, পরবর্তী এক মাসে তার দ্বিগুণ-চারগুণ কাজ হবে। আয়ের রেশিওটা এ রকমই। আর এটা কিভাবে সম্ভব তা বুঝতে হলে কোনো না কোনো নেটওয়ার্কারের সঙ্গে বসতে হবে, অথবা যিনি এ বিষয়ে জানেন-বুঝেন তাঁর সঙ্গে শেয়ার করতে হবে। ডেসটিনিতে ৪৫ লাখ ডিস্ট্রিবিউটর সবাই কিন্তু বোকা নন। তাঁরা কেউ কি বোঝেন না যে কোম্পানিটি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে? তাও আবার একটি-দুটি বছর নয়, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে! এও কি সম্ভব? অভিযোগ এলে তো তাঁদের মধ্য থেকেই আগে আসবে। কিন্তু এ রকম কি একজনও পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত? পদ্ধতিগত কারণে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ কোন ইলেকট্রনিক কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ায় কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন দিত না। মৌখিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় পণ্য বিক্রি হতো। আর এ কাজটিই করতো সম্মানিত ডিস্ট্রিবিউটররা। তাই তো কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন-খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকা থেকে তাঁদের কমিশন দেয়া হতো। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো বিভিন্ন পণ্যের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করছে। টিভি-চলচ্চিত্রের তারকারা বিভিন্ন পণ্যের ব্যবহারে মডেল হচ্ছেন। বিনিময়ে তাঁরা বিপুল পরিমাণ সম্মানী নিচ্ছেন। অমুক পণ্যের ছোঁয়ায় তমুক রমণী বিশ্বসুন্দরী হয়ে গেছেন! অথচ একটু মাথা খাটালেই বোঝা যাবে বিজ্ঞাপনের মডেল সেই পণ্যটি আদৌ ব্যবহার করেন কি না! তাই মহামান্য আদালতের কাছে ডেসটিনির ৪৫লক্ষ গ্রাহকের আবেদন দ্রুত ডেসটিনি ও এমডি ড. রফিকুল আমিনকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে তাদেরকে পুনরায় ডেসটিনিতে কাজ করার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক কারণ ডেসটিনির শীর্ষ কর্মকর্তা ড. রফিকুল আমিন সহ ডেসটিনির ম্যানেজমেন্ট তাদের সাথে কোন ধরণের প্রতারণা করেননি বা তারা ডেসটিনি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তাদের বিশ্বাস দেশের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে তাদের প্রাণ পুরুষ ড. রফিকুল আমিন তাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং ৪৫লক্ষ ডেসটিনি পরিবার সেই মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছে।