ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবী ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক বলেছেন, সাক্ষী আদালতে হাজির থাকার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতের কাছে লিখিতভাবে সময় চেয়ে আবেদন করায় গত বুধবার (১১ অক্টোবর) ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালত আগামী ১৮ অক্টোবর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।
গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ -এ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলার নিয়মিত শুনানীর তারিখ ছিল । দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করে সময় নেওয়ার কারনে আর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়নি।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট শুভ।
অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট এহসানুল হক সমাজীর সহযোগী এডভোকেট মাসুদ, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম।
শুনানীর সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন,পরিচালক ফারাহ দিবা।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন,ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।