ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় শুনানিতে ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন, গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের মামলার স্বাক্ষীদের যে সমন দেওয়া ছিল সেই স্বাক্ষী না আসার কারনে বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি।
ঐ তারিখে স্বাক্ষী আসলে তাদের স্বাক্ষী ও জেরা সম্পন্ন করা হবে। গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) ১জন সাক্ষী (মোঃ মিজানুর রহমান) আদালতে হাজির থাকার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতের কাছে লিখিতভাবে সময় চেয়ে আবেদন করায় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর উপস্থিতে মামলার শুনানীর কার্যক্রম শুরু হয় । সকাল ১০টা ৩০ ঘটিকায় শুরু হয়ে ১১ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত আদালতের শুনানীর কার্যক্রমে বিরতি দেওয়া হয়।
এরপর ১২ টা ১৫মিনিটে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন মামলার শুনানী সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরে সহকারী এডভোকেট মোঃ মোরশেদ আলম শুভ আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করে সময় নেওয়ার কারনে আর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়নি । তখন মাননীয় আদালত আগামী ২৫অক্টোবর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরে সহকারী এডভোকেট মোঃ মোরশেদ আলম শুভ।
অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট এহসানুল হক সমাজীর সহযোগী এডভোকেট মাসুদ, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম ।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় শুনানিতে ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন,গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের মামলার স্বাক্ষীদের যে সমন দেওয়া ছিল,সেই স্বাক্ষী না আসার কারনে স্বাক্ষীদের বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। পুনরায় মাননীয় আদালত তারিখ দিয়েছেন।
ঐ তারিখে স্বাক্ষী আসলে তাদের স্বাক্ষী ও জেরা সম্পন্ন করা হবে। গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) ১জন সাক্ষী (মোঃ মিজানুর রহমান) আদালতে হাজির থাকার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতের কাছে লিখিতভাবে সময় চেয়ে আবেদন করায় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) তিন জন স্বাক্ষী আসার কথা ছিল। কিন্তু একজন ( মোঃ মিজানুর রহমান) স্বাক্ষী এসেছেন,দুইজন স্বাক্ষী আসেন নাই। যিনি এসেছেন তিনি সকল প্রকার ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে পারেননি । বাকী দুইজন কেন আসেননি এখনো জানতে পারি নাই। আদালত বলেছেন সামনের তারিখে যদি এই দুইজন স্বাক্ষী যদি না আসে তাহলে তাদের বাদ দিয়ে নতুন স্বাক্ষীদের সমন দেওয়া হবে।
শুনানীর সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন,পরিচালক ফারাহ দিবা।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন,ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।