পশ্চিমা দেশগুলোকে বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, কাউকেই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, কাউকে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।
পুতিন বৃহস্পতিবার মস্কোর রেড স্কোয়ারে বলেন, ‘আমরা জানি এই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অত্যধিকতা কোন দিকে নিয়ে যায়। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষ প্রতিরোধে সবকিছু করবে। তবে একই সাথে, আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেব না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সবসময় যুদ্ধের প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে।’
ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা বলছে, পুতিন সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচে ভূখণ্ড দখলের কাজে নিয়োজিত। তারা চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও বর্তমানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ এবং পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া।
রাশিয়া বলেছে, এসব ভূখণ্ড এক সময় রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এখন এগুলো আবারও রাশিয়ার অংশ।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ২৭ মিলিয়ন লোককে হারিয়েছিল। যার মধ্যে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাৎসি বাহিনীকে বার্লিনে হটিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানেই যেখানে হিটলার আত্মহত্যা করেছিলেন।
এরপর ১৯৪৫ সালে রাইখস্ট্যাগের ওপরে লাল সোভিয়েত বিজয় ব্যানার উত্থাপিত হয়েছিল।
তার ভাষায়, ‘তবে আমরা মনে রেখেছি- মস্কো এবং লেনিনগ্রাদ, রজেভ, স্ট্যালিনগ্রাদ, কুরস্ক এবং খারকিভের কাছে, মিনস্ক, স্মোলেনস্ক এবং কিয়েভের কাছে, মুরমানস্ক থেকে ককেশাস এবং ক্রিমিয়া পর্যন্ত ভারী, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলোতে মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ৮ মে রাত ১১টা ০১ মিনিটে নাৎসি জার্মানির নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ কার্যকর হয়। আর তাই ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই দিনটিই ‘ইউরোপে বিজয় দিবস’ হিসাবে চিহ্নিত।
তবে মস্কোতে সেদিন ইতোমধ্যেই ৯ মে তারিখ শুরু হওয়ায় এই দিবসটিই সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘বিজয় দিবস’ হয়ে ওঠে।