ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করা কম্পিউটার, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরযুক্ত স্ট্যাম্প, সিল ও ভুয়া পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তাদের জেলা আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) দিনগত রাতে শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন জেলার শ্রীনগরের ভাগ্যকুলের রাজু আহম্মেদ (২৫), উমপাড়ার পলাশ হাওলাদার (৩৩), একই এলাকার সবুজ হাওলাদার (৩৮), যশুরগাঁওয়ের রুবেল(৩৬), ষোলঘরের প্রদীপ চন্দ্র সুত্রধর (৩৭) ও গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের তালবাড়ীর মৃনাল কৃত্তনীয়া (৩৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় শ্রীনগরের চকবাজারের জারা স্টুডিও ও রুবেল ইলেক্ট্রনিক ও আইটি সেন্টারে কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাবার স্টাম্প ও সিল ব্যবহার করে অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। পরে এসব স্থানে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, পুলিশের ভুয়া ক্লিয়ারেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

এ সময় সালেহা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত শ্রীনগর থানার এক পুলিশ সদস্যকে জানান, তার ছেলে মানিক শেখের বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মানিকের নামে মামলা থাকায় শ্রীনগর থানা পুলিশ কোনো ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। অথচ ভাগ্যকুল গ্রামের রাজু আহমেদ তার ছেলেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করে দেবে বলে তার কাছ থেকে ৫৭ হাজার টাকা নেয়। অনেক ঘুরাঘুরির পর রাজু তার ছেলেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়।

মানিক শেখ বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তারা জানতে পারেন রাজুর দেওয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি জাল। সালেহা বেগমের কথা মতো রাজুর কাছ থেকে জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি উদ্ধার করে এবং এই চক্রের অনুসন্ধানে নামে।

শ্রীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, আদালতের হলফনামাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সনদ তৈরি করে আসছিল চক্রটি। আমরা অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সনদ ও সিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করা কম্পিউটার, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরযুক্ত স্ট্যাম্প, সিল ও ভুয়া পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তাদের জেলা আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) দিনগত রাতে শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন জেলার শ্রীনগরের ভাগ্যকুলের রাজু আহম্মেদ (২৫), উমপাড়ার পলাশ হাওলাদার (৩৩), একই এলাকার সবুজ হাওলাদার (৩৮), যশুরগাঁওয়ের রুবেল(৩৬), ষোলঘরের প্রদীপ চন্দ্র সুত্রধর (৩৭) ও গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের তালবাড়ীর মৃনাল কৃত্তনীয়া (৩৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় শ্রীনগরের চকবাজারের জারা স্টুডিও ও রুবেল ইলেক্ট্রনিক ও আইটি সেন্টারে কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাবার স্টাম্প ও সিল ব্যবহার করে অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। পরে এসব স্থানে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, পুলিশের ভুয়া ক্লিয়ারেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

এ সময় সালেহা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত শ্রীনগর থানার এক পুলিশ সদস্যকে জানান, তার ছেলে মানিক শেখের বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মানিকের নামে মামলা থাকায় শ্রীনগর থানা পুলিশ কোনো ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। অথচ ভাগ্যকুল গ্রামের রাজু আহমেদ তার ছেলেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করে দেবে বলে তার কাছ থেকে ৫৭ হাজার টাকা নেয়। অনেক ঘুরাঘুরির পর রাজু তার ছেলেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়।

মানিক শেখ বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তারা জানতে পারেন রাজুর দেওয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি জাল। সালেহা বেগমের কথা মতো রাজুর কাছ থেকে জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি উদ্ধার করে এবং এই চক্রের অনুসন্ধানে নামে।

শ্রীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, আদালতের হলফনামাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সনদ তৈরি করে আসছিল চক্রটি। আমরা অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সনদ ও সিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।