ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলার শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন,মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা আছে আগামী ১ বছরের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে । ইতিমধ্যে উনসত্তর জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। যে সকল স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন বেশী প্রয়োজন তাদের সকলের স্বাক্ষ্য নেওয়া হবে । মামলাটি প্রায় শেষের দিকে চলে আসছে। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে ১বছরের মধ্যে এই মামলা নিস্পত্তি হবেই হবে ইনশাহ আল্লাহ্।
গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এর উপস্থিতে মামলার শুনানীর কার্যক্রম শুরু হয় । সকাল ১০টা ৩০ ঘটিকায় শুরু হয়ে ১১ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত আদালতের শুনানীর কার্যক্রমে বিরতি দেওয়া হয়। এরপর ১২ টা ১৫মিনিটে থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন মামলার শুনানী চলে ১২টা ৫০মিনিট পর্যন্ত। মাননীয় আদালত আগামী ২এপ্রিল পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।
প্রতি সপ্তাহের শুনানীতে মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডেরে বিনিয়োগকারীদের পদচারনায় থাকে পরিপূর্ণ । আজকের শুনানীতে তার কোন ব্যাতিক্রম ঘটেনি। ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের দাবী এই মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হোক। মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি হলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট ফয়েজ আহমেদ।
অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট এহসানুল হক সমাজী,ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম ।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলার শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন,মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা আছে আগামী ১ বছরের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে । ইতিমধ্যে উনসত্তর জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। যে সকল স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন বেশী প্রয়োজন তাদের সকলের স্বাক্ষ্য নেওয়া হবে । মামলাটি প্রায় শেষের দিকে চলে আসছে। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে ১বছরের মধ্যে এই মামলা নিস্পত্তি হবেই হবে ইনশাহ আল্লাহ্।
মামলার শুনানী শেষে ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি এহসানুল হক সমাজী দৈনিক ডেসটিনিকে বলেন,ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিঃ এর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন এর পক্ষ থেকে আজ স্বাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। আজকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৫জন (০১। মোঃ মাহবুব-উল-আলম,সাবেক এসএ ভিপি এন্ড ম্যানেজার অপারেশন ডাচ ব্যাংক বিজয়নগর শাখা। ০২। মোঃ এহতেশামূল হক খান,ডি.এম.ডি ডাচ ব্যাংক (পি.এল.সি)। ০৩। মাহমুদ সাজ্জাদ,জিপি ডাচ ব্যাংক (পি.এল.সি) দোলাইখাল শাখা। ০৪। এস.এইচ.এম ইব্রাহিম,অফিসার ডাচ ব্যাংক (পি.এল.সি) শান্তিনগর শাখা। ০৫। এ.কে.এম শাহ্ আলম অবসরপ্রাপ্ত ইভিপি ডাচ ব্যাংক (পি.এল.সি) ।) ব্যাংক কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্ধী ও সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তারা দুদকের চাহিদামত দালিলিক ডকুমেন্টস গুলো সরবরাহ করেছেন। আমরা সাক্ষী কে জেরা করেছি । জেরায় স্বাক্ষীরা স্বীকার করেছেন দালিলিককৃত ডকুমেন্টস গুলোর মধ্যে মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ,আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন সংশ্লিষ্টে ব্যাংকিং ট্রানজেকশন রিলেটেড কোন ডকুমেন্টস এখানে নেই ।
দুদকের চাহিদা মোতাবেক ব্যাংকের সরবরাহ কৃত ডকুমেন্টস গুলোর মধ্যে এই ছকে উল্লেখ করা আছে দৈনিক ডেসটিনির একাউন্ট থেকে আসামীদের ( মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ,আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন) একাউন্টে কোন টাকা স্থানান্তর হস্তান্তর বা রুপান্তর করা হয় নাই।
তিনি আরও বলেন বিজ্ঞ আদালত প্রতি মঙ্গলবার এই মামলার জন্য নির্ধারিত । যেহেতু মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন মামলা টি এক বছরের মধ্যে নিস্পত্তি করার জন্য । বিজ্ঞ আদালতও সেই বিষয়টি অনুধাবন করে মহামান্য উচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একান্ত ভাবে এই মামলাটি বিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য যে সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। সত্যি এটা একটা প্রসংশার যোগ্য। এইভাবে যদি মামলার গতি চলতে থাকে তাহলে আমরা বিশ্বাস করি মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এর নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে এই মামলাটি নিষ্পত্তি হতে সহায় হবে।