ঢাকা , শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব শুরু

 পার্বত্য চট্টগ্রা আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শুরু হয়েছে বৈসাবী উৎসব। পুরোনো বছরের কালিমা আর জরাজীর্ণতা ধুয়েমুছে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা।  

বাংলা বর্ষপঞ্জির শেষ দু’দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন, এই তিনদিন ধরে যা উদযাপন করা হয় বৈসবি। উৎসবকে ঘিরে এখন আনন্দে মুখরিত পাহাড়ের জনপদ। এটি পাহাড়ি জনপদের প্রধান সামাজিক উৎসব। যা ত্রিপুরাদের কাছে বৈসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। এই তিন উৎসবের প্রথম অক্ষর নিয়ে নামকরণ করা হয়েছে ‘বৈসাবী’।

চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা প্রতিবছরের ১২ই এপ্রিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে স্থানীয় ছড়া কিংবা নদীতে জলদেবতার উদ্দেশ্যে ফুল ভাঁসিয়ে শুরু করে বিজু উৎসব।

ত্রিপুরারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী হলেও উৎসব পার্বণে রয়েছে ভিন্নতা। গরিয়া দেবতার পূজার মাধ্যমে শুরু হয় ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

চাকমা ও ত্রিপুরাদের মতো মারমাদেরও রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। বাংলা নববর্ষের একদিন পরে ১৫ই এপ্রিল থেকে শুরু হয় মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব।

সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে যেন বৈসাবি উৎসব উদযাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে নিরাপত্তা বাড়নো হয়েছে বলে জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব শুরু

আপডেট সময় ০৯:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

 পার্বত্য চট্টগ্রা আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শুরু হয়েছে বৈসাবী উৎসব। পুরোনো বছরের কালিমা আর জরাজীর্ণতা ধুয়েমুছে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা।  

বাংলা বর্ষপঞ্জির শেষ দু’দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন, এই তিনদিন ধরে যা উদযাপন করা হয় বৈসবি। উৎসবকে ঘিরে এখন আনন্দে মুখরিত পাহাড়ের জনপদ। এটি পাহাড়ি জনপদের প্রধান সামাজিক উৎসব। যা ত্রিপুরাদের কাছে বৈসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। এই তিন উৎসবের প্রথম অক্ষর নিয়ে নামকরণ করা হয়েছে ‘বৈসাবী’।

চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা প্রতিবছরের ১২ই এপ্রিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে স্থানীয় ছড়া কিংবা নদীতে জলদেবতার উদ্দেশ্যে ফুল ভাঁসিয়ে শুরু করে বিজু উৎসব।

ত্রিপুরারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী হলেও উৎসব পার্বণে রয়েছে ভিন্নতা। গরিয়া দেবতার পূজার মাধ্যমে শুরু হয় ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

চাকমা ও ত্রিপুরাদের মতো মারমাদেরও রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। বাংলা নববর্ষের একদিন পরে ১৫ই এপ্রিল থেকে শুরু হয় মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব।

সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে যেন বৈসাবি উৎসব উদযাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে নিরাপত্তা বাড়নো হয়েছে বলে জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ।