ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যাবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, এবার ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের অভাব হবে না। কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ আছে।ডেঙ্গু সম্পর্কে ডাক্তাররা এখন অভিজ্ঞ। আমরা আগে প্রতিরোধ করি।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা এরইমধ্যে মিটিং করেছি। সচিবরাও মিটিং করছেন। স্যালাইনের ঘাটতি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও নেব। তবে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভালো ট্রিটমেন্ট হচ্ছে প্রিভেনশন। প্রিভেনশন না করতে পারলে আমি যতই হাসপাতালে নিয়ে আসি লাভ হবে না। সঠিক সময়ে সঠিক রোগীরা যদি হাসপাতালে আসেন, তাহলে সমস্যা হবে না।

সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের বাড়ির জায়গাটা পরিষ্কার করি। তাহলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে সবাই রক্ষা পাবে।ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, গত তিন দিনে হাসপাতালগুলো ঘুরে আমি খুব সন্তুষ্ট। চিকিৎসক, নার্স প্রত্যেকেই কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে আমি হাসপাতালগুলো তদারকি করব বলে অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই হিসেবে গত পরশু ও আজ হাসপাতাল পরিদর্শনে বের হয়েছি। আমরা আরও হাসপাতাল পরিদর্শন করব। এখানে (কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল) যে স্বাস্থ্যসেবা দেখলাম, তাতে আমি সন্তুষ্ট। তবে একটি জিনিস আমাদের করতে হবে। এই হাসপাতালটি অনেক বড়। আমি সচিব ও ডিজিকে বলছি, আমরা যদি জনবল দিয়ে এই হাসপাতালকে আরও সচল করি, তাহলে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেলে রোগীর চাপ কমবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি ঈদের আগে বলেছিলাম, স্বাস্থ্যসেবায় যেন কোথাও বিঘ্ন না ঘটে। আমি সেটি পেয়েছি। শুধু ঢাকায় নয়, আমি এই কয়দিন প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি মেডিকেল কলেজের বাইরে যারা তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়নি। আমরা এবার ডাক্তারদের থাকা-খাওয়া ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছি। যে কারণে ডাক্তাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন।

ডেঙ্গুতে বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যাবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:২১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, এবার ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের অভাব হবে না। কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ আছে।ডেঙ্গু সম্পর্কে ডাক্তাররা এখন অভিজ্ঞ। আমরা আগে প্রতিরোধ করি।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা এরইমধ্যে মিটিং করেছি। সচিবরাও মিটিং করছেন। স্যালাইনের ঘাটতি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও নেব। তবে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভালো ট্রিটমেন্ট হচ্ছে প্রিভেনশন। প্রিভেনশন না করতে পারলে আমি যতই হাসপাতালে নিয়ে আসি লাভ হবে না। সঠিক সময়ে সঠিক রোগীরা যদি হাসপাতালে আসেন, তাহলে সমস্যা হবে না।

সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের বাড়ির জায়গাটা পরিষ্কার করি। তাহলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে সবাই রক্ষা পাবে।ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, গত তিন দিনে হাসপাতালগুলো ঘুরে আমি খুব সন্তুষ্ট। চিকিৎসক, নার্স প্রত্যেকেই কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে আমি হাসপাতালগুলো তদারকি করব বলে অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই হিসেবে গত পরশু ও আজ হাসপাতাল পরিদর্শনে বের হয়েছি। আমরা আরও হাসপাতাল পরিদর্শন করব। এখানে (কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল) যে স্বাস্থ্যসেবা দেখলাম, তাতে আমি সন্তুষ্ট। তবে একটি জিনিস আমাদের করতে হবে। এই হাসপাতালটি অনেক বড়। আমি সচিব ও ডিজিকে বলছি, আমরা যদি জনবল দিয়ে এই হাসপাতালকে আরও সচল করি, তাহলে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেলে রোগীর চাপ কমবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি ঈদের আগে বলেছিলাম, স্বাস্থ্যসেবায় যেন কোথাও বিঘ্ন না ঘটে। আমি সেটি পেয়েছি। শুধু ঢাকায় নয়, আমি এই কয়দিন প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি মেডিকেল কলেজের বাইরে যারা তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়নি। আমরা এবার ডাক্তারদের থাকা-খাওয়া ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছি। যে কারণে ডাক্তাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন।