গত ১৩ই এপ্রিল রোজ শনিবার রাত ৮:১৫ মিনিটি ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে ঢাকাগামী রোডে বার আউলিয়ার দরগাহ শরীফের সামনে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, মাজারে সামনে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার স্যান্ড এ তিন গাড়ি সহ পাঁচজন পথচারীকে চাপা দেয় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা অন্য একটি প্রাইভেট কার। ঘাতক প্রাইভেট কারের চালক অক্ষত থাকলেও দুইটি শিশু ও নারী সহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়,এদের মধ্যে শিশুদের অবস্থা আশংকাজনক বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ঘাতক গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
স্যান্ডে থাকা তিনটি প্রাইভেট কারের ড্রাইভাররা রাস্তার পূর্ব সাইডে চায়ের দোকানে অবস্থান করে, তিনটি প্রাইভেট কারের চালক যথাক্রমে আবদুল হাকিম, মোঃ রমজান ও আবদুল ওহাব হঠাৎ এমন দূর্ঘটনাকে হতভম্ব হয়ে পড়েন। স্যান্ডে থাকা একটি প্রাইভেট কারের ড্রাইভার মোঃ হাকিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে উত্তর দিক থেকে খুবই দ্রুত গতিতে একটি প্রাইভেট কার ছুটে আসে কোন কিছুই টের পাওয়ার আগেই এক নিমিষেই তার ইনকামের বাহনটি সহ দুই প্রাইভেট কার ও পাঁচজন মানুষকে চাপা দেয়, যাদের মাঝে এলাকার দুইটি শিশু একজন মহিলা সহ অপরিচিত দুই জন মানুষকে চাপা পড়েন, শিশু দুইটি উদ্ধার এর পর তাদের অবস্থা তেমন সুবিধাজনক বলে তিনি আমাদের জানান।
ঢাকা মেট্রো -গ ২৬-৫৭১৬ প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকে আশেপাশের জনতা তাৎক্ষণিক আটক করে। বার আউলিয়ার হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাহারুল তার টিম নিয়ে খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন,পত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তিনি বয়ান নিয়ে আটককৃত ড্রাইভারকে আটক করে সীতাকুণ্ড থানা হাজতে প্রেরণ করেন,
সার্জেন্ট সাহারুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান,”আমরা ঘাতক গাড়ি সহ ড্রাইভার কে আটক করেছি,তাদের থানা হাজতে প্রেরণ করার পক্রিয়া চলছে,সাথে স্যান্ডে থাকা দূর্ঘনাকবলীত গাড়িগুলো কে ও থানায় নিয়ে যাচ্ছি, এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, আমরা থানায় দূর্ঘটনাকবলীত পরিবারের চিকিৎসা ও প্রাইভেট কারের ক্ষতিপূরণ এর জন্য হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে একটি মামলা দায়ের করেছি।
দুইটি শিশু ও মহিলার পরিচয় পাওয়া গেলেও এখনো পর্যন্ত দুইজন পথচারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।