ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাক্তারের অবহেলায় শিশু মুনতাহার অকাল মৃত্যু

অদ্য সকাল ৮:১৫ মিনিটির দিকে চট্টগ্রাম জিইসি’তে মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারে অবহেলায় মুনতাহা (১বছর ৫দিন) মারা যায়, গত ১৩ই এপ্রিল শনিবার রাত দশটার দিকে কাশি আর জ্বর নিয়ে মেডিকেল সেন্টারের শিশু ওয়ার্ডের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করানো হয়।

কন্যা শিশু মুনতাহার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, তারা রাতের বেলাতে শিশুটিকে কোন প্রকার খাবার প্রদান করেন নি, শিশুটিকে অক্সিজেন লাগিয়ে রেখেছিল নাম মাত্র, রাত আনুমানিক দেড় টার দিকে শিশু মুনতাহার অবস্থান ধীরে ধীরে খারাপের দিকে প্রবাহিত হলে,শিশুটির মা কর্তব্যরত নাসকে জানালে তিনি তার (শিশুটির মা) সাথে খারাপ আচারন করেন,বলেন বাচ্চারা তিন চারদিন এমন করবে,এইটি সাধারণ বিষয় এত চিন্তার কিছু নেই, শিশুটির মা বলেন একবারের জন্য ও রাতে ডাক্তার শিশুটিতে দেখতে আসেনি,সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে নেবুলাইজার দেওয়া হয়, এইটিতে শিশুটি আরো নিস্তেজ হতে শুরু করে। সকাল আটার দিকে ডিউটিরত ডাক্তার শিশুটিকে দেখতে আসেন,তখন শিশুটির শরীরে কোন প্রকার প্লাস না পেয়ে তিনি শিশুটিকি ভেন্টিলেশনে নিয়ে আসেন,শিশুটির অভিবাকের মতে তখন শিশুটি আর বেঁচে নেই।

শিশুটির অভিভাবক শিশুটি দেখতে চাইলে নিউমোনিয়া ভেন্টিলেশনের গার্ড তাদের সাথে খারাপ আচার-আচরণ করতে শুরু করে, বাড়াবাড়ি এক পর্যায়ে ডাক্তার এসে ভিডিও ধারন করতে শুরু করলে অভিভাবকদের একজন তার মুঠো ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন, এবং ডাক্তার সহ নার্সদের ভেন্টিলেটর ওয়ার্ডে আটক করে রাখেন, ডাক্তাদের কাছে প্রাথমিক ভাবে অবহেলায় শিশুটির মৃত্যুর কারনে মেডিকেল কতৃপক্ষ কি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন তারা তা জানতে চান, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ শুরু করে,তারা তাদের কোন ডিসিশন শিশুটির অভিভাবকে না জানানো তে শিশুটির অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্ব থাকা ডাক্তার রাজু আহাম্মদেকে ভেন্টিলেটর হতে বের করে আনেন এবং উনার উপরে আক্রমণ করেন।এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

একপর্যায়ে তাদের থামানো হলেও তারা বলেন হাসপাতালে এমডি দেশে নেই,তার পরিবর্তে কি এর দায়িত্ব কারো হাতে নেই, সকাল সাড়ে আটার দিকে আমাদের মেয়ে শিশুটি মারা গিয়েছে এখন পর্যন্ত তারা তার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।

দশ মিনিট পরে অভিভাবকের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশের পাশলাইশ থানার এস আই আবু আহাম্মেদ শিশু ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন,তিনি অভিভাবকদের কথা শুনেন,পরে হাসপাতাল ইনচার্জ মিতুকে তলব করেন।

ইনচার্জ মিতু ও এম এস কলেজ ছাত্রলীগ এর নেতা হানিফ ঘটনাস্থলে এলে এস আই তাদের সাথে অভিভাবকদের নিয়ে একটি রুমে আলোচনায় বসেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে মিতু আলোচনায় বসলেও তিনি কোন ডিসিশন নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে,অভিভাবকদের সাথে আবারো কথা কাটাকাটি হয়, পরে এস আই সহ অনন্য অভিভাবকদের কথার উপরে ভিত্তি করে তারা ডেড সাটিফিকেট প্রদান করেন,ডকুমেন্টস হিসেবে শিশুটির অভিভাবকরা তাদের সেবা প্রদানের সকল কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে আসেন। আগামী মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে বৈঠক হবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।

ডাক্তারের অবহেলায় শিশু মুনতাহার অকাল মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:২০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

অদ্য সকাল ৮:১৫ মিনিটির দিকে চট্টগ্রাম জিইসি’তে মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারে অবহেলায় মুনতাহা (১বছর ৫দিন) মারা যায়, গত ১৩ই এপ্রিল শনিবার রাত দশটার দিকে কাশি আর জ্বর নিয়ে মেডিকেল সেন্টারের শিশু ওয়ার্ডের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করানো হয়।

কন্যা শিশু মুনতাহার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, তারা রাতের বেলাতে শিশুটিকে কোন প্রকার খাবার প্রদান করেন নি, শিশুটিকে অক্সিজেন লাগিয়ে রেখেছিল নাম মাত্র, রাত আনুমানিক দেড় টার দিকে শিশু মুনতাহার অবস্থান ধীরে ধীরে খারাপের দিকে প্রবাহিত হলে,শিশুটির মা কর্তব্যরত নাসকে জানালে তিনি তার (শিশুটির মা) সাথে খারাপ আচারন করেন,বলেন বাচ্চারা তিন চারদিন এমন করবে,এইটি সাধারণ বিষয় এত চিন্তার কিছু নেই, শিশুটির মা বলেন একবারের জন্য ও রাতে ডাক্তার শিশুটিতে দেখতে আসেনি,সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে নেবুলাইজার দেওয়া হয়, এইটিতে শিশুটি আরো নিস্তেজ হতে শুরু করে। সকাল আটার দিকে ডিউটিরত ডাক্তার শিশুটিকে দেখতে আসেন,তখন শিশুটির শরীরে কোন প্রকার প্লাস না পেয়ে তিনি শিশুটিকি ভেন্টিলেশনে নিয়ে আসেন,শিশুটির অভিবাকের মতে তখন শিশুটি আর বেঁচে নেই।

শিশুটির অভিভাবক শিশুটি দেখতে চাইলে নিউমোনিয়া ভেন্টিলেশনের গার্ড তাদের সাথে খারাপ আচার-আচরণ করতে শুরু করে, বাড়াবাড়ি এক পর্যায়ে ডাক্তার এসে ভিডিও ধারন করতে শুরু করলে অভিভাবকদের একজন তার মুঠো ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন, এবং ডাক্তার সহ নার্সদের ভেন্টিলেটর ওয়ার্ডে আটক করে রাখেন, ডাক্তাদের কাছে প্রাথমিক ভাবে অবহেলায় শিশুটির মৃত্যুর কারনে মেডিকেল কতৃপক্ষ কি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন তারা তা জানতে চান, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ শুরু করে,তারা তাদের কোন ডিসিশন শিশুটির অভিভাবকে না জানানো তে শিশুটির অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্ব থাকা ডাক্তার রাজু আহাম্মদেকে ভেন্টিলেটর হতে বের করে আনেন এবং উনার উপরে আক্রমণ করেন।এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

একপর্যায়ে তাদের থামানো হলেও তারা বলেন হাসপাতালে এমডি দেশে নেই,তার পরিবর্তে কি এর দায়িত্ব কারো হাতে নেই, সকাল সাড়ে আটার দিকে আমাদের মেয়ে শিশুটি মারা গিয়েছে এখন পর্যন্ত তারা তার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।

দশ মিনিট পরে অভিভাবকের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশের পাশলাইশ থানার এস আই আবু আহাম্মেদ শিশু ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন,তিনি অভিভাবকদের কথা শুনেন,পরে হাসপাতাল ইনচার্জ মিতুকে তলব করেন।

ইনচার্জ মিতু ও এম এস কলেজ ছাত্রলীগ এর নেতা হানিফ ঘটনাস্থলে এলে এস আই তাদের সাথে অভিভাবকদের নিয়ে একটি রুমে আলোচনায় বসেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে মিতু আলোচনায় বসলেও তিনি কোন ডিসিশন নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে,অভিভাবকদের সাথে আবারো কথা কাটাকাটি হয়, পরে এস আই সহ অনন্য অভিভাবকদের কথার উপরে ভিত্তি করে তারা ডেড সাটিফিকেট প্রদান করেন,ডকুমেন্টস হিসেবে শিশুটির অভিভাবকরা তাদের সেবা প্রদানের সকল কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে আসেন। আগামী মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে বৈঠক হবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।