ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঙ্গা হয়েছে অর্থনীতি

ঈদে লেনদেন আড়াই লাখ কোটি টাকা

ব্যবসায়ীদের হিসাবে এবারের ঈদে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। শুধু পোশাকেই ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় বলে তাঁদের ধারণা। এতে অর্থপ্রবাহ বেড়ে চাঙ্গা হয়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।  প্রতিবছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে লেনদেন বাড়ে, চাঙ্গা হয় দেশের অর্থনীতি। এবার ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির চাপে কেনাকাটায় বেশি অর্থ খরচ করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, ২০২২ সালের মার্চে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.২২ শতাংশ, তা এবার ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। অর্থাত্ সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষার তথ্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঈদ বাজারকে ঘিরে এর আগে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। এবার সেটা আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে শুধু পোশাকের বাজারেই যোগ হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের বাজারে বাড়তি যোগ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

এর বাইরে ইলেকট্রনিকস, মিষ্টির বাজার, বিনোদন ও পরিবহন খাতে বাড়তি অর্থ যোগ হবে।

তিনি বলেন, এবার ঈদে শেষের দিকে প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে। তবে এবার ব্যবসা খুব বেশি হয়েছে, তেমন না। মূল্যস্ফীতির কারণে বেচাকেনার যে টার্গেট আমরা করেছি, সেটি অর্জিত হয়েছে। তবে পরিমাণ খুব বেশি না।

মূল্যস্ফীতির চাপে প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ঈদের কেনাকাটায়।

দোকান মালিক সমিতির হিসাব অনুসারে, ঈদ উপলক্ষে সামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। প্রতিটি মুসলমানের জন্য দান বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে প্রায় ৪৯৫ কোটি টাকা ফিতরা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী এই রোজার ঈদে বিপুল পরিমাণ ঈদসামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সব কিছু মিলিয়ে বিপুল অর্থ লেনদেনের কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা এসেছে। সেই সুফল পেয়েছে দেশের মানুষ। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন ব্যাপক বেড়েছে। ঈদের কেনাকাটায় এটিএম বুথ থেকে প্রতিদিন শতকোটি টাকার বেশি উত্তোলন করে গ্রাহকরা। মোবাইল লেনদেন প্রতিদিন বাড়ছে। এ ছাড়া মানুষের চাহিদা পূরণে বাজারে অতিরিক্ত নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যেকোনো বিকাশমান অর্থনীতিতে ক্রান্তিকালে ভোগব্যয় বা বিরাট আকারের ভোক্তা ক্রয় সঞ্জীবনী সুধা হিসেবে কাজ করে। একই ধারায় রমজানঈদ ও পহেলা বৈশাখের উৎসবকে কেন্দ্র করে চাপে থাকা আমাদের দেশের অর্থনীতিও বেশ কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে।

উৎসব ঘিরে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘন ঘন হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে সরকারের রাজস্ব আয়। অর্থনীতিতে চাহিদা বেড়েছে। এর সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা কারণে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে।

বাংলাদেশের আলোচ্য তিন উৎসবের মধ্যে শুরুতেই আসে রমজান। এই রোজার ঈদে টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি বাড়ে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ টাকা পোশাক, ভোগ্য পণ্য, শৌখিনতা, ভ্রমণসহ বিনোদনমুখী খাতে বেশি যাচ্ছে। কাজেই এটি একটি বড় ভূমিকা রাখে অর্থনীতিতে।

দেখা যায়, ঈদ এলেই সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভোজ্য তেল, মাংস, চিনি, ডাল, সেমাই ও পেঁয়াজ। ফলে এসব পণ্যের আমদানিও বাড়ে। এসব পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব টাকার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের জোগান দেওয়া হয়।

এ বছর ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী অষ্টম বেতন কাঠামোর আলোকে ঈদ বোনাস পাচ্ছেন। বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজস্ব কাঠামোতে বোনাস দিচ্ছে। পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রায় ৭০ লা বোনাসও রয়েছে, যা পুরোটাই যোগ হচ্ছে ঈদ অর্থনীতিতে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, বিভিন্ন কারণে এবার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। করোনার সংকট কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরপর আসে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট। এতে সামষ্টিক অর্থনীতি চাপে রয়েছে। এ অবস্থায় ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। কারণ এতে দেশে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে এই উৎসব পুরোটাই ইতিবাচক বলা যায়।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বোনাস দিচ্ছে। বাজারে এই বাড়তি টাকা আসায় কিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। এতে অভ্যন্তরীণ একটি চাহিদা সৃষ্টি হবে। তবে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরী বলেন, রোজার ঈদে অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি বাড়ে। এই প্রবাহ পোশাক, ভোগ্য পণ্য, শৌখিনতা, ভ্রমণসহ বিনোদনমুখী খাতে বেশি হচ্ছে। কাজেই এটি একটি বড় ভূমিকা রাখে অর্থনীতিতে।

তিনি বলেন, ঈদ ঘিরে অর্থনীতির আকার, ধরন ও ব্যাপ্তি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। মানুষ এ উৎসব ঘিরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করে। এতে উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সবাই কিছু না কিছু লাভবান হচ্ছেন।

চাঙ্গা হয়েছে অর্থনীতি

ঈদে লেনদেন আড়াই লাখ কোটি টাকা

আপডেট সময় ১০:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্যবসায়ীদের হিসাবে এবারের ঈদে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। শুধু পোশাকেই ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় বলে তাঁদের ধারণা। এতে অর্থপ্রবাহ বেড়ে চাঙ্গা হয়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।  প্রতিবছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে লেনদেন বাড়ে, চাঙ্গা হয় দেশের অর্থনীতি। এবার ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির চাপে কেনাকাটায় বেশি অর্থ খরচ করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, ২০২২ সালের মার্চে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.২২ শতাংশ, তা এবার ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। অর্থাত্ সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষার তথ্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঈদ বাজারকে ঘিরে এর আগে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। এবার সেটা আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে শুধু পোশাকের বাজারেই যোগ হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের বাজারে বাড়তি যোগ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

এর বাইরে ইলেকট্রনিকস, মিষ্টির বাজার, বিনোদন ও পরিবহন খাতে বাড়তি অর্থ যোগ হবে।

তিনি বলেন, এবার ঈদে শেষের দিকে প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে। তবে এবার ব্যবসা খুব বেশি হয়েছে, তেমন না। মূল্যস্ফীতির কারণে বেচাকেনার যে টার্গেট আমরা করেছি, সেটি অর্জিত হয়েছে। তবে পরিমাণ খুব বেশি না।

মূল্যস্ফীতির চাপে প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ঈদের কেনাকাটায়।

দোকান মালিক সমিতির হিসাব অনুসারে, ঈদ উপলক্ষে সামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। প্রতিটি মুসলমানের জন্য দান বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে প্রায় ৪৯৫ কোটি টাকা ফিতরা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী এই রোজার ঈদে বিপুল পরিমাণ ঈদসামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সব কিছু মিলিয়ে বিপুল অর্থ লেনদেনের কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা এসেছে। সেই সুফল পেয়েছে দেশের মানুষ। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন ব্যাপক বেড়েছে। ঈদের কেনাকাটায় এটিএম বুথ থেকে প্রতিদিন শতকোটি টাকার বেশি উত্তোলন করে গ্রাহকরা। মোবাইল লেনদেন প্রতিদিন বাড়ছে। এ ছাড়া মানুষের চাহিদা পূরণে বাজারে অতিরিক্ত নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যেকোনো বিকাশমান অর্থনীতিতে ক্রান্তিকালে ভোগব্যয় বা বিরাট আকারের ভোক্তা ক্রয় সঞ্জীবনী সুধা হিসেবে কাজ করে। একই ধারায় রমজানঈদ ও পহেলা বৈশাখের উৎসবকে কেন্দ্র করে চাপে থাকা আমাদের দেশের অর্থনীতিও বেশ কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে।

উৎসব ঘিরে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘন ঘন হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে সরকারের রাজস্ব আয়। অর্থনীতিতে চাহিদা বেড়েছে। এর সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা কারণে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে।

বাংলাদেশের আলোচ্য তিন উৎসবের মধ্যে শুরুতেই আসে রমজান। এই রোজার ঈদে টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি বাড়ে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ টাকা পোশাক, ভোগ্য পণ্য, শৌখিনতা, ভ্রমণসহ বিনোদনমুখী খাতে বেশি যাচ্ছে। কাজেই এটি একটি বড় ভূমিকা রাখে অর্থনীতিতে।

দেখা যায়, ঈদ এলেই সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভোজ্য তেল, মাংস, চিনি, ডাল, সেমাই ও পেঁয়াজ। ফলে এসব পণ্যের আমদানিও বাড়ে। এসব পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব টাকার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের জোগান দেওয়া হয়।

এ বছর ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী অষ্টম বেতন কাঠামোর আলোকে ঈদ বোনাস পাচ্ছেন। বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজস্ব কাঠামোতে বোনাস দিচ্ছে। পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রায় ৭০ লা বোনাসও রয়েছে, যা পুরোটাই যোগ হচ্ছে ঈদ অর্থনীতিতে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, বিভিন্ন কারণে এবার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। করোনার সংকট কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরপর আসে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট। এতে সামষ্টিক অর্থনীতি চাপে রয়েছে। এ অবস্থায় ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। কারণ এতে দেশে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে এই উৎসব পুরোটাই ইতিবাচক বলা যায়।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বোনাস দিচ্ছে। বাজারে এই বাড়তি টাকা আসায় কিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। এতে অভ্যন্তরীণ একটি চাহিদা সৃষ্টি হবে। তবে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরী বলেন, রোজার ঈদে অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি বাড়ে। এই প্রবাহ পোশাক, ভোগ্য পণ্য, শৌখিনতা, ভ্রমণসহ বিনোদনমুখী খাতে বেশি হচ্ছে। কাজেই এটি একটি বড় ভূমিকা রাখে অর্থনীতিতে।

তিনি বলেন, ঈদ ঘিরে অর্থনীতির আকার, ধরন ও ব্যাপ্তি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। মানুষ এ উৎসব ঘিরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করে। এতে উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সবাই কিছু না কিছু লাভবান হচ্ছেন।