ঢাকা , শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিপক্ষকে ফাসাতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তানিয়ার জামিনে আতঙ্কিত এলাকা বাসী

 

 

পুলিশের উপর হামলার ঘটনা মামলায় আটক হওয়া রুপাতলির তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ফের আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। ঘরের বাহির হলেই গালিগালাজ আর হুমকি ধামকি দেন বলে জানিয়েছেন পার্শ্ববর্তী বরিশাল বরিশাল প্রতিনিধি ফরাজী পরিবার।

প্রতিপক্ষ্যকে ফাসাতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও করেছেন নগরীর রুপাতলি গ্যাষ্টেরবাইন এলাকার মৃত ইউনুছ খানের মেয়ে তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা । তার রোষানল থেকে রেহাই পায়নি খোদ পুলিশের কর্মকর্তারাও। গত ২০ শে এপ্রিল রোজ শনিবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া বলেন, তার সাথে রিয়াজ ফরাজীদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো, রিয়াজ ফরাজী গং রা তানিয়ার জমি দখল করছে, যেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা। বরং তানিয়া আক্তার শালিশি গনের অমিমাংশিত সমাধানের পরেও তার পেশি শক্তি ব্যাবহার করে লোকজন নিয়ে জমিতে দেয়াল নির্মাণ করেন। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

তানিয়া বলেন, এস আই মাইনুল ফরাজী বাড়ীর জামাই এ এস আই আমিনুল ইসলামের অনুরোধে নিজে বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু এলাকাবসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আদালতের ১৮৮ ধারা অমান্য করে তানিয়া আক্তার জমিতে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে ফরাজীরা বাধা দিলে সেখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে মোবাইল টিমের দায়িত্বরত এস আই মাইনুল ঘটনা স্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তানিয়া বাহিনীর হামলার স্বীকার হন তিন নারী পুলিশ সদস্য। পুলিশের উপরস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশেই পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানান এস আই মাইনুল।

এ বিষয়ে মামলার আয়ূ কোতোয়ালি মডেল থানার অসি অপারেশন বিপ্লব মিত্র জানান, পুলিশ হামলার মামলায় তানিয়া সহ তিন জন জামিনে আছেন। তবে তানিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা সুত্রে জানাযায়, বরিশালের রুপাতলি ২৪ নং ওয়ার্ড গ্যাস্টেরবাইন এলাকার পুলিশ বাড়ী সড়কের ফরাজী পরিবার ও মৃত ইউনুছ খানের মেয়ে তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলার সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। বিরোধ মিমাংসার জন্য নগরীর ২৪/২৫ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী উভয় পক্ষ্কেই থানায় বসানো হয়।

দীর্ঘ দের মাস ধরে উভয় পক্ষ্যের আমিন (সার্ভেয়ার) ও এডভোকেট নিয়ে জমিন মাপামাপি হলেও উভয় পক্ষ্যই শালিশগনের সিদ্ধান্ত না মানার কারনে সুষ্ঠ সমাধানে ব্যর্থ হন তারা।
শালিশিগন উভয়কেই আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা আদালতের ১৪৪/১৪৫ এবং ১৮৮ অমান্য করে ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে প্রতিপক্ষ ফরাজী পরিবার নিষেধ করতে আসলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সাথে সাথে মোবাইল ফোনে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আমানুল্লাহ আল-বারী অই এলাকায় দায়িত্বরত মোবাইল টিমকে ঘটনা স্থানে যেতে বলেন, এবং তিনি নিজেও ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তানিয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্চিত ও আহত হন তিন নারী পুলিশ সদস্য। পুলিশের সদস্য আহত ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় মোবাইল টিমের দায়িত্বরত এস আই মাইনুল ইসলাম বাদী হয়ে তানিয়া সহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করেন। যেখানে তানিয়া সহ আরো দুইজন আটক হয়েছিলো, যার মধ্যে তানিয়া আক্তার বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।

এ বিষয়ে রিয়াজ ফরাজী জানান, তানিয়া আক্তার জেল থেকে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের বাড়ীর লোকজন বিশেষ করে মহিলারা ঘরের বাহিরে বের হতে পারছেনা, বের হলেই তানিয়া ও তার বাড়ির লোকজন অকাথ্য ভাষায় গালাগালি করে, এমকি হামলা করতেও আসে। তানিয়া বাহিনীর এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ফরাজী পরিবার।

প্রতিপক্ষকে ফাসাতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তানিয়ার জামিনে আতঙ্কিত এলাকা বাসী

আপডেট সময় ০৫:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

 

 

পুলিশের উপর হামলার ঘটনা মামলায় আটক হওয়া রুপাতলির তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ফের আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। ঘরের বাহির হলেই গালিগালাজ আর হুমকি ধামকি দেন বলে জানিয়েছেন পার্শ্ববর্তী বরিশাল বরিশাল প্রতিনিধি ফরাজী পরিবার।

প্রতিপক্ষ্যকে ফাসাতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও করেছেন নগরীর রুপাতলি গ্যাষ্টেরবাইন এলাকার মৃত ইউনুছ খানের মেয়ে তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা । তার রোষানল থেকে রেহাই পায়নি খোদ পুলিশের কর্মকর্তারাও। গত ২০ শে এপ্রিল রোজ শনিবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া বলেন, তার সাথে রিয়াজ ফরাজীদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো, রিয়াজ ফরাজী গং রা তানিয়ার জমি দখল করছে, যেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা। বরং তানিয়া আক্তার শালিশি গনের অমিমাংশিত সমাধানের পরেও তার পেশি শক্তি ব্যাবহার করে লোকজন নিয়ে জমিতে দেয়াল নির্মাণ করেন। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

তানিয়া বলেন, এস আই মাইনুল ফরাজী বাড়ীর জামাই এ এস আই আমিনুল ইসলামের অনুরোধে নিজে বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু এলাকাবসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আদালতের ১৮৮ ধারা অমান্য করে তানিয়া আক্তার জমিতে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে ফরাজীরা বাধা দিলে সেখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে মোবাইল টিমের দায়িত্বরত এস আই মাইনুল ঘটনা স্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তানিয়া বাহিনীর হামলার স্বীকার হন তিন নারী পুলিশ সদস্য। পুলিশের উপরস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশেই পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানান এস আই মাইনুল।

এ বিষয়ে মামলার আয়ূ কোতোয়ালি মডেল থানার অসি অপারেশন বিপ্লব মিত্র জানান, পুলিশ হামলার মামলায় তানিয়া সহ তিন জন জামিনে আছেন। তবে তানিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা সুত্রে জানাযায়, বরিশালের রুপাতলি ২৪ নং ওয়ার্ড গ্যাস্টেরবাইন এলাকার পুলিশ বাড়ী সড়কের ফরাজী পরিবার ও মৃত ইউনুছ খানের মেয়ে তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলার সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। বিরোধ মিমাংসার জন্য নগরীর ২৪/২৫ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী উভয় পক্ষ্কেই থানায় বসানো হয়।

দীর্ঘ দের মাস ধরে উভয় পক্ষ্যের আমিন (সার্ভেয়ার) ও এডভোকেট নিয়ে জমিন মাপামাপি হলেও উভয় পক্ষ্যই শালিশগনের সিদ্ধান্ত না মানার কারনে সুষ্ঠ সমাধানে ব্যর্থ হন তারা।
শালিশিগন উভয়কেই আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা আদালতের ১৪৪/১৪৫ এবং ১৮৮ অমান্য করে ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে প্রতিপক্ষ ফরাজী পরিবার নিষেধ করতে আসলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সাথে সাথে মোবাইল ফোনে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আমানুল্লাহ আল-বারী অই এলাকায় দায়িত্বরত মোবাইল টিমকে ঘটনা স্থানে যেতে বলেন, এবং তিনি নিজেও ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তানিয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্চিত ও আহত হন তিন নারী পুলিশ সদস্য। পুলিশের সদস্য আহত ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় মোবাইল টিমের দায়িত্বরত এস আই মাইনুল ইসলাম বাদী হয়ে তানিয়া সহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করেন। যেখানে তানিয়া সহ আরো দুইজন আটক হয়েছিলো, যার মধ্যে তানিয়া আক্তার বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।

এ বিষয়ে রিয়াজ ফরাজী জানান, তানিয়া আক্তার জেল থেকে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের বাড়ীর লোকজন বিশেষ করে মহিলারা ঘরের বাহিরে বের হতে পারছেনা, বের হলেই তানিয়া ও তার বাড়ির লোকজন অকাথ্য ভাষায় গালাগালি করে, এমকি হামলা করতেও আসে। তানিয়া বাহিনীর এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ফরাজী পরিবার।