ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কেউ রাখে না, রাখে একমাত্র বিএমডিসি’

চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই। বাংলাদেশে একমাত্র ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার রাখে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল)। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যে আক্রমণ তা ন্যক্কারজনক, খুবই বাজে। ভুল চিকিৎসার নাম করে চিকিৎসকদের মারধর, বিশেষ করে নারী চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না।’

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সক্ষমতার বিষয়ে করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের চিকিৎসকদের মেধা ও দক্ষতা বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কম না। আমরা যে জোড়া মাথার যমজ শিশু রোকেয়া-রাবেয়ার অপারেশন করলাম—যদিও সেখানে হাঙ্গেরির চিকিৎসকেরা ছিল—সেই অপারেশনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের দেশের নিউরোসার্জনরা। প্রথম যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিশুর দুটির এন্ড্রোভাস্কুলার সেপারেশন হয়, সেই রাতের ৩টা-৪টার দিকে আমি নিজ চোখে দেখেছি আমাদের অ্যানেস্থেটিক ও নিউরোসার্জনদের ইচ্ছা, দক্ষতা ও সামর্থ্য। এটি আমাকে বিস্মিত করেছে।’

তরুণ চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে দেশের মানুষ চিকিৎসক সমাজকে সম্মান করবে। আমরা যদি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সার্ভিস দিই, রোগীদের সেবা দিই—মানুষ সম্মান করবে। আমাদের তো কোনো কিছুর অভাব নেই। আমাদের মেধা আছে। সেই মেধা দিয়ে তোমরা সর্বোচ্চ সেবা দাও, তোমাদের সুরক্ষা আমি দেব। ডাক্তার হিসেবে তোমাদের প্রতি এটিই আমার প্রতিশ্রুতি।’

বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।  নিনসের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম প্রমুখ।

 

‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কেউ রাখে না, রাখে একমাত্র বিএমডিসি’

আপডেট সময় ০৫:২১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই। বাংলাদেশে একমাত্র ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার রাখে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল)। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যে আক্রমণ তা ন্যক্কারজনক, খুবই বাজে। ভুল চিকিৎসার নাম করে চিকিৎসকদের মারধর, বিশেষ করে নারী চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না।’

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সক্ষমতার বিষয়ে করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের চিকিৎসকদের মেধা ও দক্ষতা বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কম না। আমরা যে জোড়া মাথার যমজ শিশু রোকেয়া-রাবেয়ার অপারেশন করলাম—যদিও সেখানে হাঙ্গেরির চিকিৎসকেরা ছিল—সেই অপারেশনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের দেশের নিউরোসার্জনরা। প্রথম যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিশুর দুটির এন্ড্রোভাস্কুলার সেপারেশন হয়, সেই রাতের ৩টা-৪টার দিকে আমি নিজ চোখে দেখেছি আমাদের অ্যানেস্থেটিক ও নিউরোসার্জনদের ইচ্ছা, দক্ষতা ও সামর্থ্য। এটি আমাকে বিস্মিত করেছে।’

তরুণ চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে দেশের মানুষ চিকিৎসক সমাজকে সম্মান করবে। আমরা যদি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সার্ভিস দিই, রোগীদের সেবা দিই—মানুষ সম্মান করবে। আমাদের তো কোনো কিছুর অভাব নেই। আমাদের মেধা আছে। সেই মেধা দিয়ে তোমরা সর্বোচ্চ সেবা দাও, তোমাদের সুরক্ষা আমি দেব। ডাক্তার হিসেবে তোমাদের প্রতি এটিই আমার প্রতিশ্রুতি।’

বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।  নিনসের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম প্রমুখ।