৩৬ রানে ১ উইকেট থেকে স্কোরবোর্ডে আর ২ রান যোগ করতেই উইকেটের পতন হলো আরও পাঁচটি। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ধসের চিত্রটা এরচেয়ে ভয়ঙ্কর আর কী হতে পারতো!
আজ (শুক্রবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শরীফুল ইসলামের প্রথম বল সীমানা দড়ি পার করে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয় জিম্বাবুয়ে ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির। প্রথম ওভারে দুই চারে শুরুটা খারাপ হয়নি সফরকারীদের। তবে দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী।
আগের ওভারের শেষ বলে গাম্বিকে ফিরিয়েছিলেন সাইফদ্দিন। ষষ্ঠ ওভারে শেখ মেহেদীর প্রথম দুই বলে দুই উইকেট। অবশ্য প্রথমটা রান আউট। তড়িঘড়ি রান নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন বেনেট। মাহমুদউল্লাহ সেই সুযোগ দিলেন না। তার থ্রো–তে রান আউট করেন উইকেটকিপার জাকের আলী। ১৫ বলে ১৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন বেনেট।
পরের বলেই দলের বিপদ আরও বাড়ালেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। স্লিপে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন। চট্টগ্রামে চোখ রাখলে আপনার মনে হতেই পারে, আসলে কী হচ্ছে! দ্রুত আউট হওয়ার প্রতিযোগিতায় যেন নেমেছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা।
মেহেদীর করা ষষ্ঠ ওভারে পরপর দুই উইকেটের পর সপ্তম ওভারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে এবার দুটি উইকেটই তুলে নিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম বলেই ফিরিয়েছেন উইলিয়ামসকে। পরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদকে ক্যাচ দেন বার্ল। দুই ব্যাটারই নিজেদের মোকাবিলা করা প্রথম বলে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন।
৮ম ওভারে আক্রমণে এসে লুক জঙ্গিকে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচে পরিণত করেন সাইফউদ্দিন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪২ রান। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৮২। আজ নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লেখার সম্ভাবনা প্রবল।