ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা Logo রংপুরে মাথায় কাফনের কাপড় পরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল Logo মাগুরার মেডিকেল কলেজ মাগুরাতেই থাকছে: শফিকুল আলম Logo আর কোন সরকারকে জুলুমবাজ হতে দেয়া হবে না – রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন Logo সব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করলো সরকার Logo দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ Logo তৈরি পোশাক খাতে শক্তি রূপান্তরের নতুন চ্যালেঞ্জ Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি: সাবেক এমপি মুজিবুর Logo আনোয়ারায় স্কুল ভবনের কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও Logo জিম্বাবুয়ের যে পেসারকে হুমকি মানছেন বাংলাদেশ কোচ
বিশেষজ্ঞদের ধারণা

এআইর লেখা সংবাদে ঝুঁকি রয়েছে

  • ডেসটিনি ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ লিখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম তৈরি করছে গুগলের একটি প্রকল্প। তবে ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ডিভাইসগুলো অসাবধানতাবশত ভুয়া খবর ছড়াতে কিংবা উৎসের নিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।

গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগল জেনেসিস নামের একটি নতুন পণ্য পরীক্ষা করছে, যা সংবাদ তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করবে।

জেনেসিস তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, যেমন বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ এবং সংবাদ সামগ্রী তৈরি করতে পারে। গুগল ইতোমধ্যেই টাইমস এবং অন্যান্য সংস্থা, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক নিউজ করপোরেশনের কাছে পণ্যটি নিয়ে আলোচনা করেছে।

এদিকে এর আগে বাজারে আসা জেনারেটিভ এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবাদ শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কীভাবে বিশ্বে মাপসই হতে পারে, তা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এআই সরঞ্জামগুলো স্ক্র্যাপিং নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়ায় দ্রুত ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং পিডিএফ ফাইলগুলো থেকে বের করে রিপোর্টারদের গবেষণায় সহায়তা করতে পারে। এছাড়া এআই সাংবাদিকদের ফ্যাক্ট-চেক বা সত্য যাচাই করতেও সাহায্য করতে পারে।

টরন্টোর সিটিজেন ল্যাবে বিভ্রান্তি নিয়ে গবেষণাকারী জন স্কট-রেলটনের মতে, যদি এআই’র লেখা নিবন্ধগুলো যত্ন সহকারে পরীক্ষা না করা হয়, তবে সেগুলো অজান্তেই বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

প্রায় একই বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের ডেপুটি ডিরেক্টর পল এম ব্যারেটও।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মিথ্যার প্রচারকে আরও তরান্বিত করতে পারে। এর মাধ্যমে ভুল তথ্য তৈরি করা সহজ হবে।

ভয়েজ অব আমেরিকাকে পাঠানো এক ই-মেল বিবৃতিতে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে, বিশেষ করে ছোট ছোট প্রকাশকদের, তাদের সাংবাদিকদের কাজে সাহায্য করার জন্য সম্ভাব্যভাবে এআই-সক্ষম টুল সরবরাহ করার জন্য ধারণাগুলো অন্বেষণের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।

মুখপাত্র বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো সাংবাদিকদের এই উদীয়মান প্রযুক্তিগুলো এমনভাবে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া, যাতে তাদের কাজের পরিধি এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ে।

বর্তমানে নিউজ আউটলেটগুলো বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটে ভুগছে। গ্যালাপ এবং নাইট ফাউন্ডেশনের ফেব্রুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেক মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করেন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে শ্রোতাদের ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা

বিশেষজ্ঞদের ধারণা

এআইর লেখা সংবাদে ঝুঁকি রয়েছে

আপডেট সময় ০১:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

সংবাদ লিখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম তৈরি করছে গুগলের একটি প্রকল্প। তবে ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ডিভাইসগুলো অসাবধানতাবশত ভুয়া খবর ছড়াতে কিংবা উৎসের নিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।

গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগল জেনেসিস নামের একটি নতুন পণ্য পরীক্ষা করছে, যা সংবাদ তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করবে।

জেনেসিস তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, যেমন বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ এবং সংবাদ সামগ্রী তৈরি করতে পারে। গুগল ইতোমধ্যেই টাইমস এবং অন্যান্য সংস্থা, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক নিউজ করপোরেশনের কাছে পণ্যটি নিয়ে আলোচনা করেছে।

এদিকে এর আগে বাজারে আসা জেনারেটিভ এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবাদ শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কীভাবে বিশ্বে মাপসই হতে পারে, তা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এআই সরঞ্জামগুলো স্ক্র্যাপিং নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়ায় দ্রুত ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং পিডিএফ ফাইলগুলো থেকে বের করে রিপোর্টারদের গবেষণায় সহায়তা করতে পারে। এছাড়া এআই সাংবাদিকদের ফ্যাক্ট-চেক বা সত্য যাচাই করতেও সাহায্য করতে পারে।

টরন্টোর সিটিজেন ল্যাবে বিভ্রান্তি নিয়ে গবেষণাকারী জন স্কট-রেলটনের মতে, যদি এআই’র লেখা নিবন্ধগুলো যত্ন সহকারে পরীক্ষা না করা হয়, তবে সেগুলো অজান্তেই বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

প্রায় একই বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের ডেপুটি ডিরেক্টর পল এম ব্যারেটও।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মিথ্যার প্রচারকে আরও তরান্বিত করতে পারে। এর মাধ্যমে ভুল তথ্য তৈরি করা সহজ হবে।

ভয়েজ অব আমেরিকাকে পাঠানো এক ই-মেল বিবৃতিতে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে, বিশেষ করে ছোট ছোট প্রকাশকদের, তাদের সাংবাদিকদের কাজে সাহায্য করার জন্য সম্ভাব্যভাবে এআই-সক্ষম টুল সরবরাহ করার জন্য ধারণাগুলো অন্বেষণের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।

মুখপাত্র বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো সাংবাদিকদের এই উদীয়মান প্রযুক্তিগুলো এমনভাবে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া, যাতে তাদের কাজের পরিধি এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ে।

বর্তমানে নিউজ আউটলেটগুলো বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটে ভুগছে। গ্যালাপ এবং নাইট ফাউন্ডেশনের ফেব্রুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেক মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করেন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে শ্রোতাদের ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে।