ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দেশের সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল-পলাশ কারখানা চালু হচ্ছে

ইউরিয়া সার কারখানা রোববার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ কারখানা চালু হচ্ছে আগামী রোববার (১৩ নভেম্বর)। বৃহৎ এই সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার কারখানা উদ্বোধন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। 

শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নরসিংদীর ঘোড়াশালের পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণ করেছে। এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাণিজ্যিক ঋণ ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা রয়েছে। ১০ বছর মেয়াদে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি), হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) ও ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড (এমইউএফজি) থেকে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে।

জাকিয়া সুলতানা বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বিসিআইসির পুরোনো সার কারখানা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা নির্মাণের নির্দেশ দেন। সেটি পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে ভার্চুয়ালি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিল্পসচিব বলেন, দেশে বছরে ২৬ লাখ টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। আপত্কালীন মজুত রাখতে হয় আট লাখ টন। জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব কারখানাটি স্থাপনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের সমপরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে সার উৎপাদন হবে তিন গুণ। কারখানাটিতে ৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি অত্যাধুনিক স্টিম গ্যাস জেনারেটর রয়েছে। কারখানাটিতে ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। সার্বক্ষণিক দুটি জেনারেটর ৫০ শতাংশ লোডে চলবে।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১১০ একর জমির ওপর ইউরিয়া সার কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালে অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালে জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই কারখানাটি উদ্বোধন করা হচ্ছে।

পলাশ সার কারখানাটি উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়। পরে সময় বাড়িয়ে বেলা ২টায় করা হয়। শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী একনেক সভায় ব্যস্ত থাকায় সাংবাদিকদের সামনে আসেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

শিল্পসচিব মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি ও সাফল্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

দেশের সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল-পলাশ কারখানা চালু হচ্ছে

ইউরিয়া সার কারখানা রোববার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ কারখানা চালু হচ্ছে আগামী রোববার (১৩ নভেম্বর)। বৃহৎ এই সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার কারখানা উদ্বোধন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। 

শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নরসিংদীর ঘোড়াশালের পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণ করেছে। এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাণিজ্যিক ঋণ ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা রয়েছে। ১০ বছর মেয়াদে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি), হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) ও ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড (এমইউএফজি) থেকে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে।

জাকিয়া সুলতানা বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বিসিআইসির পুরোনো সার কারখানা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা নির্মাণের নির্দেশ দেন। সেটি পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে ভার্চুয়ালি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিল্পসচিব বলেন, দেশে বছরে ২৬ লাখ টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। আপত্কালীন মজুত রাখতে হয় আট লাখ টন। জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব কারখানাটি স্থাপনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের সমপরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে সার উৎপাদন হবে তিন গুণ। কারখানাটিতে ৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি অত্যাধুনিক স্টিম গ্যাস জেনারেটর রয়েছে। কারখানাটিতে ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। সার্বক্ষণিক দুটি জেনারেটর ৫০ শতাংশ লোডে চলবে।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১১০ একর জমির ওপর ইউরিয়া সার কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালে অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালে জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই কারখানাটি উদ্বোধন করা হচ্ছে।

পলাশ সার কারখানাটি উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়। পরে সময় বাড়িয়ে বেলা ২টায় করা হয়। শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী একনেক সভায় ব্যস্ত থাকায় সাংবাদিকদের সামনে আসেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

শিল্পসচিব মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি ও সাফল্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।