ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জবিতে যৌন হয়রানি

অবন্তিকার বাড়িতে তদন্ত কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জবির তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে অবন্তিকার কুমিল্লার বাগিচাগাঁও বাসায় যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় সেখানে তারা অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।

এদিন দুপুর ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা তদন্তের কাজ চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস, কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অবন্তির মা। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা পুরো ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। তারা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির এ সহযোগিতা যদি আগে থাকত তাহলে আমার মেয়ে এখন মাটির নিচে থাকত না। আমি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী মেয়েকে হারালাম।

এর আগে কুমিল্লার শাসনগাছা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন শাসনগাছা কবরস্থানে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্য।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

গত ১৫ মার্চ রাতে অবন্তিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকে একটি পোস্টে অবন্তিকা এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

জবিতে যৌন হয়রানি

অবন্তিকার বাড়িতে তদন্ত কমিটি

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জবির তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে অবন্তিকার কুমিল্লার বাগিচাগাঁও বাসায় যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় সেখানে তারা অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।

এদিন দুপুর ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা তদন্তের কাজ চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস, কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অবন্তির মা। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা পুরো ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। তারা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির এ সহযোগিতা যদি আগে থাকত তাহলে আমার মেয়ে এখন মাটির নিচে থাকত না। আমি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী মেয়েকে হারালাম।

এর আগে কুমিল্লার শাসনগাছা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন শাসনগাছা কবরস্থানে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্য।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

গত ১৫ মার্চ রাতে অবন্তিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকে একটি পোস্টে অবন্তিকা এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।